আজ বলে নয়, বহু দিন ধরেই বাঙালি ঘরে জনপ্রিয় রুপোর গয়না। এখনও কলকাতায় একটা বিয়েবাড়ি হোক, কিংবা অফিস পার্টি— শাড়ির সঙ্গে মানানসই রুপোর গয়না, আপনাকে করে তুলতে পারে অতুলনীয়। ভিড়ের মাঝে অনন্যা হয়ে উঠতে পারেন আপনি।
এক রঙা হ্যান্ডলুম থেকে ঢাকাই জামদানি। শাড়ির সঙ্গে রুপোর গয়নার সঙ্গত আপনার সাজকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেবে। আবার ফিউশন এবং সেমি ফর্মাল পোশাকের সঙ্গেও রুপোর গয়না ট্রেন্ডি এবং ইন। তবে শাড়ির সঙ্গে ভারী এবং ট্রাইবাল ধাঁচের গয়না বেছে নিলে, ফিউশন ও সেমি ফর্মাল পোশাকের জন্য পরুন জ্যামিতিক নকশার গয়না। বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রুপোর গয়না পাওয়া যায়। চেষ্টা করুন নামী ব্র্যান্ডের গয়না কিনতে। তবে, গয়না কিনলেই হবে না। তার যত্নআত্তি না করলে কিন্তু পুরো শখটাই মাটি। রুপোর গয়না ঝকঝকে করতে দারুণ কাজ দেয় অ্যালুমিনিয়ম ফয়েল। একটা পাত্রে অ্যালুমিনিয়ম ফয়েল রেখে তার উপর রুপোর গয়না রাখুন। এ বার ২ চামচ বেকিং সোডা মেশানো ঈষদুষ্ণ জল ওর উপর ঢালুন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পরে আলতো হাতে গয়না পরিষ্কার করে নিন। নরম পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখুন, হারানো উজ্জ্বলতা আবার ফিরে এসেছে।
অনেক সময়েই রুপোর গয়নায় মুক্তো এবং অন্যান্য দামী পাথর বসানো থাকে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু গয়না ধরে ঈষদুষ্ণ জলে চোবানো যাবে না। প্রত্যেক রত্নের জন্য আলাদা আলাদা রীতি মেনে পরিষ্কার করুন। পাথরগুলিকে বাদ দিয়ে রুপোর গয়নার অন্য অংশগুলিতে অল্প অল্প করে বেকিং সোডা মেশানো ঈষদুষ্ণ জল ছিটিয়ে হাত দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। সময় থাকলে বেকিং সোডার সঙ্গে জলে মিশিয়ে নিন নুন এবং ভিনিগার। এত কিছু মেশানোর সময় না থাকলে স্রেফ টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে ফিরিয়ে আনুন রুপোর গয়নার হারানো জেল্লা। তবে জেল টুথপেস্টে কিন্তু পরিষ্কার হবে না। কারণ তাতে বেকিং সোডার পরিমাণ কম।
বাতাসে আর্দ্রতার পাশাপাশি আপনার ত্বকেও কিন্তু রুপোর গয়নার বেশ কিছু শত্রু লুকিয়ে বসে আছে। যেমন ধরুন ত্বকের ঘাম, তেল দুইই রুপোর ক্ষতি করে। আবার আপনার মেক আপের রাসায়নিকও কিন্তু রুপোর গয়নাকে মলিন করে দেবে। পারফিউম, লোশন, হেয়ার সিরাম— কোনওটাই আপনার রুপোর গয়নার বন্ধু নয় কিন্তু। তাই প্রতি বার ব্যবহারের পরে রুপোর গয়না নরম কাপড় দিয়ে মুছে তার পর তুলে রাখুন। এমন ভাবে রুপোর গয়না রাখবেন, যাতে সেগুলি সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকে এবং অবশ্যই আপনার গয়নার বাক্স যেন শুকনো থাকে। কখনওই একটার পর একটা গয়না চাপিয়ে রাখবেন না। একটা গয়না থেকে অন্য গয়নার মধ্যে যেন যথেষ্ট ব্যবধান থাকে।