Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

অতিমারিতে শহর খুঁজছে বাড়ির থেকে কাজের ‘ড্রেসকোড’-এর মানে

সুটেড বুটেডের সময় এখন নয়।নিউ নর্মালে কমফর্টই মূল মন্ত্র। বাড়িতে থেকে কাজ তাই যতটা আরামদায়ক পোশাক হয় ততই ভাল।

বর্ণিনী মৈত্র চক্রবর্তী
কলকাতা ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৬

প্রতীকী চিত্র

নিউ নর্মাল জীবনে হোম-ওয়ার্কই এখন তামাম ওয়ার্কফোর্সের ঠিকানা। বাঙালিও এই পদ্ধতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ক ফ্রম হোম মানেই কি যেমন খুশি পোশাক পরা? ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ‘ড্রেসকোড’ সব থেকে আলোচিত বিষয়ের একটি। এই ড্রেসকোডের সব থেকে ইন্টারেস্টিং বিষয় হল ‘ড্রেস আপ টু দ‌্য ওয়েস্ট’। অর্থাৎ কি না যা সাজগোজ, সব কিছুই ওই কোমর পর্যন্ত। অনলাইন মিটিং বলুন বা ইন্টারভিউ বা কনকল, সবাই সবাইকে দেখতে পায় হাফবাস্ট আর তাই পরিধেয় যা কিছু তা ওই আপ টু দ‌্য ওয়েস্ট। সুটেড বুটেডের সময় এখন নয়। নিউ নর্মালে কমফর্টই মূল মন্ত্র। বাড়িতে থেকে কাজ তাই যতটা আরামদায়ক পোশাক হয় ততই ভাল। কেউ বেছে নিচ্ছেন সেমি ক‌্যাজুয়াল শার্ট, কেউ সোয়েট শার্ট, কেউ টি-শার্ট তো কেউ বাছছেন কুর্তা। স্ট্রাইপস, চেকস, অ‌্যানিম্যাল প্রিন্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। খুব টাইট, ফিটেড ফর্মালওয়‌্যার এখন আলমারিবন্দি। ডিজাইনার অভিষেক দত্তর মতে, “পোশাক হতে হবে কমফর্টেবল, ব্রাইট। এমন মেটিরিয়াল বেছে নিতে হবে, যাতে কম ক্রিজ পড়ে। যেমন লিনেনের বদলে সুতি বেটার অপশন এ ক্ষেত্রে। জুম মিট বা গুগল মিট-এর সময় উজ্জ্বল রংই পরা উচিত, যাতে সবার নজরে পড়া যায়।” পুরুষদের ক্ষেত্রে শার্ট, টি-শার্ট, সোয়েটশার্টেই হোমওয়ার্ক চলছে। যখন যেমন তখন তেমন। শার্টের তলায় শর্টস পরে দিব্বি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।

Advertisement

বাড়ি থেকে কাজ করা হচ্ছে মানেই একেবারে ঘরের পোশাক নয়, পোশাক হোক ক‌্যাজুয়াল ফর্মাল। ডিজাইনার শুভার মতে “ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ড্রেস এমন হতে হবে, যা একাধারে আরামদায়ক এবং সেমি ফরমাল। বাড়ি থেকে হলেও আপনি যে কাজে একশো ভাগ দিচ্ছেন,‌ তা যেন আপনাকে দেখে বোঝা যায়। একটা এলিগ্যান্স যেন সব সময় থাকে। আর যে হেতু সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ তাই কমফর্টেবল পোশাক হওয়া জরুরি। ”ডিজাইনার অস্মিতা মাড়ওয়ার মতে, “বাড়ি থেকে কাজ করার সময় পোশাক যেমন আরামদায়ক হওয়া প্রয়োজন আবার যেন শ্যাবি না দেখতে লাগে সে দিকেও নজর রাখতে হবে। একই সঙ্গে স্টাইলিশ এবং কমফর্টেবল লুক হতে হবে। সে ক্ষেত্রে একটা সাদা শার্ট সঙ্গে কিছু হালকা অ্যাকসেসরি বা যে কোনও সলিড কালারও পরা যেতে পারে। একটা হালকা স্কার্ফ বা নেকপিস দিয়ে লেয়ারিং করা যেতে পারে। কুর্তি পরলে যে কোনও সলিড কালারের বন্ধগলা পরা যেতে পারে। মেকআপ বলতে চোখে হালকা কাজল, ব্যস। শার্ট পরলে সলিডকালার বা স্ট্রাইপস পারফেক্ট। ফেব্রিকের ক্ষেত্রে বলব, সব ন্যাচরাল ফেব্রিক যেমন কটন, লিনেন, সিল্ক পরুন।”

একনজরে

• সুন্দর আরামদায়ক টপ পরুন। কোনও ঝকমকে বা স্পার্কলিং টপ নয়। নয়তো অন‌্যদের দৃষ্টি আপনার মুখের থেকে আপনার জামার উপর চলে যাবে বেশি।

• মিটিং থাকলে এমন কিছু পরুন, যা আপনাকে একটা ক্লাসি লুক দেয়। সাদা শার্ট সে ক্ষেত্রে একটা অপশন হতেই পারে। নয়তো কোনও উজ্জ্বল রঙের পোশাক।

• একঘেয়ে, ডিপ্রেশড লাগলে একটু উজ্জ্বল রং বেছে নিতে পারেন। এমন একটা পোশাক বাছুন, যা মুড লিফট করবে।

• বটমওয়‌্যারের দিকেও একটু নজর দিতে হবে। পায়জামা বা শর্টসের বদলে পালাজো, হারেম প‌্যান্টস, স্ট্রেট প‌্যান্টস ট্রাই করতে পারেন। এগুলোও আরামদায়ক। আপনার কনফিডেন্সও বাড়াতে সাহায‌্য করবে।

• এমন ভাবে ড্রেস আপ করুন যাতে আপনাকে দেখে কখনওই মনে না হয়, আপনি ওয়ার্ক ফ্রম হোমকে হালকা চালে নিয়েছেন। আপনি কী ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেখানেই আপনি কী পরছেন, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement