হাই কোর্ট জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ ছাড়াই পরকীয়া ও ব্যাভিচারের অভিযোগ করা হলে স্বামীর গভীর রাগ, হতাশা, যন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক। ছবি: প্রতীকী
কোনও প্রমাণ ছাড়াই জীবনসঙ্গীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচার ও পরকীয়ার অভিযোগ করা নৃশংসতার শামিল। গুজরাতের শবরকন্ঠ জেলার এক স্কুলশিক্ষক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের মামলার রায়দান প্রসঙ্গে এমনই জানাল গুজরাত হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।
অভিযোগকারী ব্যক্তি কোর্টে জানান, ১৯৯৩ সালে বিয়ে হয় তাঁর। ২০০৬ সালে এক পুত্রসন্তান হয় তাঁদের। কিন্তু সন্তানের জন্মের পরই বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। ২০০৯ সালে গৃহত্যাগ ও নৃশংসতার অভিযোগ এনে নিম্ন আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পাল্টা মামলা করেন স্ত্রীও। স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁর এক সহকর্মীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ করেন মহিলা। আনেন গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও। কিন্তু কোনও কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। ২০১৪ সালে নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস পান স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতিও মেলে।
নিম্ন আদালতের রায় মেনে নিতে পারেননি মহিলা। দ্বারস্থ হন গুজরাত হাই কোর্টের। সেই মামলাতে হার হল তাঁর। হাই কোর্ট জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ ছাড়াই পরকীয়া ও ব্যাভিচারের অভিযোগ করা হলে স্বামীর গভীর রাগ, হতাশা, যন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক। পাশাপাশি, দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা এত দিন স্বামীর পৈতৃক বাড়ি দখল করে বসবাস করছেন। ফলে স্বামী ও শাশুড়িকে ভাড়াবাড়িতে থাকতে হচ্ছে। সব দেখে হাই কোর্ট ওই ব্যক্তির বিবাহবিচ্ছেদের আর্জি মঞ্জুর করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy