Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Hathras

Hathras Rape: ৩৩ বছর ধরে ভুয়ো পরিচয়ে লুকিয়ে ছিল ধর্ষণের সাজাপ্রাপ্ত আসামি! দিল্লি থেকে গ্রেফতার

হাথরসের পুলিশ সুপার বিনীত জায়সবাল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে হাথরসে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিল রঘুনন্দন। ১৯৮৭-তে দোষী সাব্যস্ত হয় সে। স্থানীয় আদালত রঘুনন্দনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৪
Share: Save:

প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল ধর্ষণের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর জেলে ফিরে না গিয়ে গা ঢাকা দেয় সে। দিল্লিতে ভুয়ো পরিচয়ে ৩৩ বছর কাটানোর পর অবশেষে মঙ্গলবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আসামি রঘুনন্দন সিংহ।

ঘটনাচক্রে রঘুনন্দন উত্তরপ্রদেশের হাথরসের বাসিন্দা। যে হাথরসে ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই হাথরসেরই পুরনো একটি ধর্ষণের ঘটনায় জেল খাটছিল রঘুনন্দন। স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লিতে ভুয়ো পরিচয়ে থাকছিল সে। আত্মীয়রা ভেবেছিলেন রঘুনন্দনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ তার আবির্ভাবে স্তম্ভিত রঘুনন্দনের আত্মীয়রা। এমনকি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরাও।

হাথরসের পুলিশ সুপার বিনীত জায়সবাল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালে হাথরসে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিল রঘুনন্দন। ১৯৮৭-তে দোষী সাব্যস্ত হয় সে। স্থানীয় আদালত রঘুনন্দনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ১৯৮৯ সালে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানায় সে। আদালত রঘুনন্দনের প্যারোলে মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করে।

সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে রঘুনন্দন তার ঘরবাড়ি, সম্পত্তি সব বিক্রি করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। নতুন পরিচয়ে দিল্লির বুরারিতে গিয়ে আশ্রয় নেয় সে। সেখানে একটি পোশাকের দোকানে ভুয়ো পরিচয়ে কাজ নেয়। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আসামি রঘুনন্দন জেলে না ফেরায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। তখন হাই কোর্ট রঘুনন্দনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়।

পুলিশ হন্যে হয়ে রঘুনন্দনের খোঁজ চালাচ্ছিল। তাকে ধরতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছিল পুলিশ। গ্রামে গিয়ে রঘুনন্দনের যখন তল্লাশি শুরু করে পুলিশ, পঞ্চায়েত প্রধান এবং গ্রামের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা তাদের জানান, রঘু মারা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয়। তারা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছিল। এবং একই সঙ্গে রঘুর ঘনিষ্ঠদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল। তবে রঘুর আত্মীয়রা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ১৯৮৯ সালে রঘু হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়ার পর থেকে তার আর কোনও খবর পাননি তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের ধারণা হয় রঘু মারা গিয়েছেন।

গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় দিল্লির বুরারিতে রঘুর মতো এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। সেই খবর পেয়েই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পর তারা দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় বুরারিতে অভিযান চালায়। তখনই রঘুনন্দন পুলিশের জালে ধরা পড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hathras rape Convict Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE