—প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার মধ্যেই আমেরিকার বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছে। যাকে সারা আর্থিক ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, এর ফলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির আর্থিক প্রকল্পগুলিতে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি যুক্ত করতে পারবে সংস্থাগুলি। তবে আজ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস স্পষ্ট করে দিলেন, ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক অন্য কোনও দেশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে অনুসরণ করবে না। বিশ্ব অর্থনীতি, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের পক্ষে ‘ক্রিপ্টো উন্মাদনা’ রীতিমতো ঝুঁকির!
আজ এক আলোচনাচক্রে দাস বলেছেন, ‘‘অন্য একটি বাজারের পক্ষে যেটা ভাল সেটা আমাদের জন্য ভাল না-ও হতে পারে। এ ব্যাপারে (ক্রিপ্টোকারেন্সি) রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এবং আমার দৃষ্টিভঙ্গি অপরিবর্তিত রয়েছে।’’
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, গত বাজেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি-সহ সমস্ত ধরনের ডিজিটাল সম্পদের লেনদেনের উপরে মোটা কর বসিয়েছে তারা। এই পদক্ষেপ পক্ষান্তরে ডিজিটাল সম্পদের স্বীকৃতি কি না, সে ব্যাপারে স্বাভাবিক ভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও সেই সময়েও ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাপারে নিজেদের যুক্তিতে অনমনীয় ছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আজ বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার পক্ষে বড় ঝুঁকির বলে মন্তব্য করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর বলেন, ‘‘আমেরিকার বাজার নিয়ন্ত্রক একই ঘোষণায় লগ্নিকারীদের প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তাও দিয়েছে।... কেউ কোনও পদক্ষেপ করেছে বলে আমাদেরও তা করতে হবে, তার কোনও মানে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy