তসর জমিনে রেশমের বুনন, সূক্ষ কারুকাজ। আর জরির সিক্যুইন। সব মিলিয়ে শাড়িতে উৎসবের গন্ধমাখা। মোক্ষ স্বভাবে সাহসী, সাজেও। মসৃণ পিঠের সৌন্দর্য উস্কে সোনালি সিক্যুইনের ব্যাকলেস, হল্টার ব্লাউজ়। চুল উঁচু করে বাঁধা। শাড়ির সঙ্গে সোনালি গয়না। কপালে আলগোছে টিকলি। সাজ সম্পূর্ণ করে তথাগত ঘোষের ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই মুগ্ধ অভিনেত্রীর ছেলেবেলার সঙ্গী তন্ময় দে-ও। হ্যাঁ, কলকাতায় তাঁর বান্ধবী এলে তিনিই তাঁর ছায়াসঙ্গী।
কথা বলতে বলতেই সাজ সম্পূর্ণ। মেকআপ রুমে উঁকি দিতেই দেখা গেল, লাল-নীল রঙের যুগলবন্দি শাড়িতে। এই শাড়ির জমিনও তসর। তাতে জরিবোনা লতাপাতা। সঙ্গে নীল হাতকাটা ব্লাউজ়। অঙ্গে জড়াতেই লালচে আভা অভিনেত্রীর গমরঙা ত্বকে। সেই আঁচ আরও গনগনে করতে ডান হাত ভরে লাল চুড়ি। খোলা চুলে মোক্ষ আবারও বিদ্রোহিনী। হাতে স্লেট-পেন্সিল। তাতে লেখা ‘নিরাপদ?’ জোর দিয়ে যেন জানতে চেয়েছেন, ‘সত্যিই কি আমরা নিরাপদ?’
এ বারের পুজোয় যন্ত্রণার কালো ছায়া। কিন্তু অন্য বারের পুজো মোক্ষর কেমন কাটে? কেনাকাটা, হুল্লোড়, ভরপেট পেটপুজো, অষ্টমীর অঞ্জলি, ধুনুচি নাচ— কিচ্ছু বাদ দেন না, হাসতে হাসতে জানালেন। আনন্দবাজার অনলাইনের এই শুটে অভিনেত্রীর সঙ্গে সারা ক্ষণ তন্ময়। সেটা দেখেই প্রশ্ন, আগামী বছরের পুজো কি মোক্ষের বিবাহিত রূপ দেখবে? পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন অভিনেত্রীও, “মালয়ালম, কন্নড়, তামিল, তেলুগু, বাংলা— কাজের সুবাদে প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রি ভাবছে, আমি তাদের। তাই একুশের ‘দ্রৌপদী’ হলে কেমন হয়?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy