টানা তৃতীয় বার চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন শি জিনপিং। ফাইল চিত্র।
তৃতীয় বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন শি জিনপিং। চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টে ‘ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস’-এর বার্ষিক অধিবেশনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে একদলীয় চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি শুক্রবার জানিয়েছে।
গত অক্টোবরে তৃতীয় বারের জন্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিজের স্থান সুনিশ্চিত করেছিলেন জিনপিং। পাশাপাশি, কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদেরও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। সে সময় চিনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছিল, দীর্ঘ দিন নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের পর্ব চলার পরে একক ব্যক্তির শাসনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
‘ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস’-এর এ বারের বার্ষিক অধিবেশনে চিনের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ অনুগামী লি কুয়াংকে মনোনীত করা হতে পারে বলে সে দেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ওই পদে রয়েছেন লি খ্যছিয়াং।
আমেরিকার-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার আশঙ্কা, এই কেন্দ্রীভূত নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জিনপিংকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও বেপরোয়া করে তুলবে। তাঁর ক্ষমতা যত একচেটিয়া হবে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চিনের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা তত বাড়বে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে চিনের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, দেশের কূটনীতি ও রণনীতিকে আরও আগ্রাসী করতে তিনি বদ্ধপরিকর। ফলে আগামী দিনে চিনের সঙ্গে বাকি বিশ্বের সঙ্ঘাত নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে আশঙ্কা।