North Bengal Medical College

হুমকি সংস্কৃতি: অভিযুক্তকে বহিষ্কারের নির্দেশ স্থগিত, সিদ্ধান্ত নিতে স্বাস্থ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিল হাই কোর্ট

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন সোহম মণ্ডলের করা এক মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। থ্রেট কালচার-সহ একাধিক অভিযোগে মামলাকারীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৫৫
Calcutta High Court stay order on expelling accused in threat culture

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

হুমকি সংস্কৃতিতে (থ্রেট কালচার) যুক্ত থাকার অভিযোগে কলেজ কাউন্সিলের বহিষ্কারের সুপারিশের উপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্বাস্থ্যসচিবকেই। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিল হাই কোর্ট। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিবকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন সোহম মণ্ডলের করা এক মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। গত ৯ সেপ্টেম্বর থ্রেট কালচার-সহ একাধিক অভিযোগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল মামলাকারীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁকে বহিষ্কারও করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, মামলাকারীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সুপারিশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এ বার স্বাস্থ্যসচিবের উপর দিলেন বিচারপতি ভট্টাচার্য।

গত ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। রাজ্যের হাসপাতালে হাসপাতালে চলা ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব হয়ে আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। থ্রেট কালচারের অভিযোগে আরজি কর, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার কথা জানায় কলেজ কাউন্সিল। তবে পরে হাই কোর্ট জানায়, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হবে কি না। তবে তত দিন তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।

হাই কোর্টের সেই নির্দেশের কথা জানিয়ে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে বহিষ্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ব্যাপারে মামলাকারীকে সাত দিন আগে নোটিস দেবে স্বাস্থ্য দফতর। সিদ্ধান্তের পর তা মামলাকারী এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তবে স্বাস্থ্যসচিব সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত মামলাকারীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।’’

এ বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে মামলাগুলিতে সওয়াল করা আইনজীবী কল্লোল বসু জানান, র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ থাকলে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসচিবের বিবেচনার জায়গা নেই। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম, ২০১৫ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ীই পুরোটা হওয়া উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন