Myanmar Earthquake

৬০ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিলেন ধ্বংসস্তূপে! মায়ানমারে ধসে পড়া হোটেলের নীচ থেকে জীবিত উদ্ধার তরুণী

শুক্রবারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ধসে পড়েছিল মান্দালয় শহরের গ্রেট ওয়াল হোটেল। তিন দিন পর সেই ধ্বংসাবশেষ থেকেই এক মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৯
মায়ানমারের ধ্বংসচিত্র।

মায়ানমারের ধ্বংসচিত্র। ছবি: রয়টার্স।

ভূমিকম্পে ধসে গিয়েছে মায়ানমারের শয়ে শয়ে ঘরবাড়ি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১,৭০০ জনের। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচেই চাপা পড়ে রয়েছেন কেউ কেউ। সেই আবহে এ বার ভূমিকম্পের তিন দিন পর ধসে পড়া এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় টেনে বার করা হল এক তরুণীকে। কাকতালীয় এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন মায়ানমার বাসী। এর পরেই ফের নতুন উৎসাহে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ধসে পড়েছিল মান্দালয় শহরের গ্রেট ওয়াল হোটেল। তিন দিন পর সেই ধ্বংসাবশেষ থেকেই এক মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ানমারের চিনা দূতাবাস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছিলেন এক তরুণী। প্রাণের ক্ষীণ স্পন্দনও টের পাচ্ছিলেন উদ্ধারকারীরা। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের পর শেষমেশ সোমবার সকালে কোনওমতে টেনে বার করা হয় তরুণীকে। হাততালি দিয়ে ওঠেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলেই। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে ভূমিকম্পের তিন দিন পর এমন কাকতালীয় ঘটনায় আশার আলো দেখছেন উদ্ধারকারীরা। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে জীবিত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিক ভাবে ভূমিকম্প হচ্ছে প্রাচ্যের নানা দেশে। শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বেসরকারি সূত্র যদিও বলছে, সংখ্যাটা ২ হাজার ২৮। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ তাইল্যান্ডেও। তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে একটি নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়ে শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত সেখানে ১৭ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৪২ জনকে। এখনও অন্তত ৭৮ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্ধারকারীদের অনুমান, অনেকে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন। তাঁদের খুঁজে বার করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

Advertisement
আরও পড়ুন