ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন সামরিক জোট নেটোর সদস্য হলে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে শান্তির জন্য যদি আপনি চান যে আমি পদত্যাগ করি, তবে আমি তার জন্য প্রস্তুত।” একই সঙ্গে জ়েলেনস্কির সংযোজন, “আমি এটা নেটোর জন্য করতে পারি।”
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জ়েলেনস্কি জানান, তিনি কেবল রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবেই ট্রাম্পকে দেখতে চান না। বরং আরও একটু বেশি কিছু চান আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে।
তবে প্রেসিডেন্ট হিসাবে পদ আঁকড়ে থাকার কোনও বাসনা যে নেই, তা বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন জ়েলেনস্কি। সম্প্রতি ট্রাম্প জ়েলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত একনায়ক’ বলে তোপ দেগেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন যে, নির্বাচন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন জ়েলেনস্কি। তার পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সরকার আমেরিকার প্রভাবিত সামরিক জোট নেটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন জানাতে সক্রিয় হওয়ার পরেই ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কিভের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল মস্কো। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে রাশিয়ার প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নেটোর সদস্যপদ পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় অস্ত্রসাহায্য চালিয়ে গিয়েছে আমেরিকা। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে পরিস্থিতির বদল হয়। ট্রাম্প প্রশাসন আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনকে নেটোর সদস্য করতে চায় না। আমেরিকা সাহায্যের হাত তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিতেই ক্রমশ ইউরোপের ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন জ়েলেনস্কি।