Iran

আর ১-২ সপ্তাহের মধ্যেই পারমানবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা চলে আসবে ইরানের হাতে! সজাগ আমেরিকা

ইরান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু নীতি শান্তির পথেই চলবে। তবে গত মে মাসে তারা এ-ও জানিয়েছে, ইরানের অস্তিত্বের উপর শঙ্কা তৈরি হলে, সেই নীতি বদলানোও হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১২:৩২
USA Secretary of State Antony Blinken says Iran can produce fissile material for nuclear weapon within one or two weeks

ইরানের পরবর্তী গতিবিধির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে চাইছে আমেরিকা। —ফাইল চিত্র।

পারমানবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যে উন্নত মানের ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হয়, তা জোগাড়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে ইরান। সম্ভবত, আর সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার অ্যাসপেন সিকিউরিটি ফোরামের এক আলোচনাসভায় এই মন্তব্য করেছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই পারমানবিক অস্ত্র তৈরির মতো উন্নত মানের ইউরেনিয়াম জোগাড়ের কাজে গতি এনেছিল ইরান। আর এর পরই আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেটের এমন মন্তব্য ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আঙিনায়।

Advertisement

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, “আমরা মোটেই ভাল জায়গায় নেই। পারমানবিক চুক্তি মানছে না ইরান। পরমাণু অস্ত্র তৈরির সামগ্রী জোগাড় করতে ইরানের অন্তত আরও একটা বছর সময় লাগার কথা ছিল। কিন্তু এখন হয়তো আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই তারা সেটা করে ফেলবে।”

ইরানের তরফে সরকারি ভাবে অবশ্য এর আগে একাধিক বার বলা হয়েছে, তাদের পারমানবিক কার্যকলাপ শান্তির পথেই চলবে। তবে গত মে মাসেই ইরান আবার এটাও বলেছে, তাদের অস্তিত্বের উপর কোনও সঙ্কটের আবহ তৈরি হলে তারা পারমানবিক নীতিতে বদলও আনতে পারে। সে ক্ষেত্রে এখন ইরানের পরবর্তী গতিবিধির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে চাইছে আমেরিকা।

শুক্রবার ওই আলোচনাসভায় ব্লিঙ্কেন বলেন, “ইরান এখনও পর্যন্ত কোনও পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করেনি। কিন্তু এটার উপর আমাদের খুব সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের পরামর্শদাতা কামাল খারাজ়ি বলেছিলেন, “আমাদের পরমাণু বোমা তৈরির কোনও উদ্দেশ্য নেই। কিন্তু যদি ইরানের অস্তিত্বের উপর প্রশ্ন ওঠে, তখন আমাদের সামরিক নীতিতে বদল আনা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।”

আরও পড়ুন
Advertisement