Antony Blinken

‘শত্রুতা নয়, অংশীদারি চাই চিনের’, জিনপিংয়ের সঙ্গে বেজিংয়ে বৈঠকের পর বললেন ব্লিঙ্কেন

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার বলেন, বলেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটেছে।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৯
(বাঁ দিকে থেকে) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।  শি জিনপিং (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে থেকে) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শি জিনপিং (ডান দিকে)। ছবি: এএফপি।

ঠিক ১০ মাসে আগে তাইওয়ান নিয়ে ওয়াশিংটন-বেজিং টানাপড়েনের সময় চিন সফরে গিয়ে শি জিনপিংকে তিনি বলেছিলেন, স্বাধীন তাইওয়ান নয়, ‘এক চিন’ নীতিতেই বিশ্বাস করে আমেরিকা। দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা প্রশমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল তাঁর সেই বিবৃতি।

Advertisement

জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার আবার বেজিংয়ে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তার পর বললেন, ‘‘আমেরিকা এবং চিনের অংশীদার হওয়া উচিত, শত্রু নয়।’’ তবে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতির জন্য অনেক বিষয় সংস্কার করতে হবে বলেও জানালেন আমেরিকার বিদেশ সচিব।

চিনের আপত্তি খারিজ করে ২০২২-এর অগস্টে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত একাধিক যুদ্ধজাহাজও তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। তা নিয়ে সে সময় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং।

সেই পরিস্থিতিতে ব্লিঙ্কেনের সফর উত্তেজনা প্রশমনে অনুঘটক হয়েছিল। শুক্রবার বেজিংয়ের ‘গ্রেফ হল অফ পিপল্’-এ ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটেছে। তবে এই প্রচেষ্টা আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement