প্রতীকী ছবি।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথে আরও এক ধাপ এগোল বেজিং। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার নতুন নৌঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করেছে চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। কম্বোডিয়ার রিম নৌঘাঁটির উত্তর অংশে চিনের এই সামরিক উপস্থিতি অদূর ভবিষ্যতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার পক্ষে ‘আশঙ্কার কারণ’ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট।
দক্ষিণ চিন সাগরের পাশাপাশি গোটা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুত আধিপত্য বিস্তারের পথে হাঁটতে চাইছে শি চিনফিং সরকার। কয়েক বছর আগেই মায়ানমারের কোকো দ্বীপে চিন গোপন নৌঘাঁটি বানিয়েছে বলে বিভিন্ন পশ্চিমী সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উত্তরের ইস্ট দ্বীপ এবং ল্যান্ডফল দ্বীপের অদূরের ওই দ্বীপে চিনা ফৌজের উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে আশঙ্কাজনক বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন।
যদিও চিন বা মায়ানমারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোকো দ্বীপের নৌঘাঁটির কথা স্বীকার করা হয়নি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের এই তৎপরতার বিষয়টি নিয়ে গত মাসে কোয়াড শীর্ষ বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গঠিত চতুর্দেশীয় অক্ষের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হাজির ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় সত্তরের দশকে বেজিংয়ের মদতপুষ্ট খমের রুজ দলের সরকার ক্ষমতাসীন ছিল। পরবর্তী কালে ভিয়েতনামের সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীদের হানায় সেই সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তী সময়ে সে দেশের নানা উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল ঋণ দিয়েছে চিন। বছর দু’য়েক আগে আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দক্ষিণ-পশ্চিম কম্বোডিয়ার কোহং প্রদেশে থাইল্যান্ড উপসাগর উপকূলের ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে চিনা নৌঘাঁটি তৈরির খবর জানিয়েছিল। সে সময় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন চিনা নৌঘাঁটি নির্মাণের খবর খারিজ করেছিল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।