Naval Exercise

বেজিংয়ের ‘দুয়ারে’ এ বার পেন্টাগনের যুদ্ধজাহাজ! তিন দেশের সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরে নৌ-মহড়া

ঘটনাচক্রে, দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠীর বিরোধও রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৪ ০৭:৫৪

ছবি: সংগৃহীত।

চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে যৌথ যুদ্ধ মহড়া চলল আমেরিকার নেতৃত্বে! কানাডা, জাপান এবং ফিলিপিন্সও দু’দিনের এই যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। সোমবার আমেরিকার নৌসেনার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠীর বিরোধও রয়েছে। ফিলিপিন্স এবং চিনের বিরোধের অন্যতম কারণ দক্ষিণ চিন সাগরের সেকেন্ড থমাস শোলে দ্বীপকে কেন্দ্র করে।

ফিলিপাইন দ্বীপের পালাওয়ান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই দ্বীপে ১৯৯৯ সালে ফিলিপিন্স নৌবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি জাহাজে অস্থায়ী নৌঘাঁটি বানিয়ে অবস্থান নিয়েছিল প্রায় দু’দশক আগে। আবার ২০১২ সালে ফিলিপিন্সের কাছ থেকে স্কারবরো শোলে দ্বীপের দখল নিয়েছিল চিনা পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। যা নিয়ে দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট বাণিজ্যসামগ্রীর প্রায় ২১ শতাংশই এই সমুদ্রপথ দিয়ে পরিবহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চিনের সংঘাতের পারদ চড়ছে। এই আবহে চতুর্দেশীয় নৌমহড়ায় আমেরিকা-বেজিং সম্পর্কের পারদ চড়তে পারে বলে মনে করছে সামরিক ও কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন