Bomb Cyclone

৮ ফুট পুরু বরফ, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে! আমেরিকায় সাইক্লোন বোমায় মৃত বেড়ে ৩৪

আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে ‘সাইক্লোন বম্ব’। এর ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। ঠান্ডায় জমে গিয়েছে চারদিক।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪৪
বড়দিনে প্রবল ঠান্ডায় বিপর্যস্ত আমেরিকা।

বড়দিনে প্রবল ঠান্ডায় বিপর্যস্ত আমেরিকা। ছবি: রয়টার্স।

বড়দিনে প্রবল ঠান্ডায় বিপর্যস্ত আমেরিকা। তুষারঝড়ে দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪। হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। কোথাও ৮ ফুট, কোথাও বা ১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ জমে গিয়েছে রাস্তাঘাটে। বড়দিন বা বছর শেষের উৎসবের মাঝে আমেরিকা জুড়ে নেমে এসেছে বিষাদ।

আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে ‘সাইক্লোন বম্ব’। এর ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। ঠান্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারে বাধা পাচ্ছে।

Advertisement

তুষারঝড়ের মাঝে বড়দিনে নাগরিকদের ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরেই থাকতে বলা হয়েছে সকলকে। খুব জরুরি দরকার না হলে কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না।

আমেরিকায় টানা ৫ দিন ধরে বরফের ঝড় চলেছে। তুষার বর্ষণের পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ভুগিয়েছে স্থানীয়দের। যদিও আপাতত সেই হাওয়ার বেগ কিছুটা কমেছে। দুর্যোগে আমেরিকার অন্তত ২ লক্ষ মানুষ বড়দিন কাটিয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা কবে, কখন স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খুঁটি ডুবে গিয়েছে বরফের আস্তরণে। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত।

ঠান্ডায় কলোরাডোতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, শুধুমাত্র নিউ ইয়র্কেই মারা গিয়েছেন ১২ জন। মোট ৯টি প্রদেশ থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আমেরিকায় তুষারঝড়ের ফলে উদ্ভুত এই পরিস্থিতি আগে কখনও হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না অনেকে। নানা প্রান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement