Bihar

মালিক কে? জমি বিবাদে বিহারের পাঁচ মহিলাকে গুলি, হাসপাতালে আহতেরা, গ্রেফতার অভিযুক্ত

এই জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, ১৯৮৫ সালে সরকারের তরফে দান হিসাবে ওই জমির মালিকানা পেয়েছিলেন ভূমিহীন মজুররা। ফলে এখন তাঁরাই এই জমির মালিক।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০১
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মহিলাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন শিশির দুবে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মহিলাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন শিশির দুবে। প্রতীকী ছবি।

জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদের জেরে বিহারের ৫ মহিলাকে গুলি করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে বেতিয়া জেলার এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে লড়াই চালাচ্ছেন ওই মহিলারা। তাঁদের উপর গুলিচালনার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বেতিয়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে পশ্চিম চম্পারণ জেলার নকটি পটয়ারা গ্রামের একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদে ওই মহিলাদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে শিশির দুবের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নকটি পটয়ারা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, ১৯৮৫ সালে সরকারের তরফে দান হিসাবে ওই জমির মালিকানা পেয়েছিলেন ভূমিহীন মজুররা। ফলে এখন তাঁরাই এই জমির মালিক।

এই জমির মালিকানা নিয়ে ওই মজুরদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা শিশির দুবে-সহ অনেকের পাল্টা দাবি, তাঁদের উচ্ছেদ করে ওই জমি দান করা হয়েছিল। এ নিয়ে ২০০৪ সাল থেকে মামলাও ঝুলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার সকালে ওই জমিতে এসে জোর করে ট্র্যাক্টর চালাতে থাকেন শিশির। গ্রামের মহিলারা তা জানতে পেরে তাতে বাধা দেন। সে সময় তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন শিশির। এই ঘটনায় ৫ মহিলা গুরুতর জখম হন।

খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান বেতিয়ার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকেরা। এর পর পুলিশবাহিনী চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে শিশিরকে গ্রেফতার করে।

বেতিয়ার পুলিশ সুপার উপেন্দ্রনাথ বর্মা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই জমি কার, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। এই ঘটনায় এক জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’ যে বন্দুক দিয়ে গুলিচালনার অভিযোগ উঠেছে, সেটি পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক দফতরে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement