Conflict in Myanmar

তিন জঙ্গিগোষ্ঠীর জোটের হানায় কোণঠাসা মায়ানমার সেনা, হাতছাড়া বহু এলাকা, ঘরছাড়া ৯০ হাজার

তিন জঙ্গিগোষ্ঠী— ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) জোট বেঁধে হামলা শুরু করেছে মায়ানমারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নেপিদ শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০
গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মায়ানমার।

গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মায়ানমার। — ফাইল চিত্র।

আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছিল কিছু দিন ধরেই। শেষ পর্যন্ত তা সত্যি হল। মায়ানমারের তিন জঙ্গিগোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) জোট বেঁধে সে দেশের সামরিক জুন্টা পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করল।

Advertisement

চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই চিন সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা মায়ানমারের সেনার হাতছাড়া হয়েছে। মায়ানমার-চিন সংযোগরক্ষাকারী সড়কও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে বলে তিন জঙ্গিগোষ্ঠীর জোটের দাবি। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষের জেরে আতঙ্কে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ ঘর ছেড়েছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল মায়ানমার সেনা। আড়াই বছরের সেনা সরকার এই প্রথম এত বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হল বলে মনে করা হচ্ছে। মায়ানমারের ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ (এসএসি)-এর প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত শোয়ে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘দ্রুত, কার্যকরী পদক্ষেপ না-করলে আমাদের দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।’’

সূত্রের খবর, চিন-মায়ানমার বাণিজ্যের ‘কেন্দ্র’ বলে পরিচিত সীমান্তবর্তী চিনশয়েহাউ শহরের দখল নিয়েছে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট। সেখানে কয়েকটি চিনা বাণিজ্যিক সংস্থার দফতরেও তারা হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন বেজিং বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি। মায়ানমারের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে শুক্রবারও বহু এলাকা দখল করেছে জঙ্গিজোট।

Advertisement
আরও পড়ুন