Russia-Ukraine War

বাঁধ ভেঙে বানভাসি হওয়া এলাকায় ত্রাণ পৌঁছতে দিচ্ছে না রাশিয়া, অভিযোগ রাষ্ট্রপুঞ্জের

ইউক্রেনের দিনিপ্রো নদীর উপর নোভা কাখোভকা নামের ওই বাঁধ ধ্বংস হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। জাতিপুঞ্জের অভিযোগ, বন্যাদুর্গত মানুষদের কাছে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছতে দিচ্ছে না রাশিয়া।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ২১:০৯
UN accuses Russia of blocking access to flood hit areas

ইউক্রেনের দিনিপ্রো নদীর উপর ভেঙে যাওয়া নোভা কাখোভকা বাঁধ। —ফাইল চিত্র।

বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাতে বাধ সাধছে রাশিয়া। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। জুন মাসের গোড়ায় ইউক্রেন সেনার অগ্রগতি ঠেকাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আস্ত নদীবাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে দিনিপ্রো নদীতে তৈরি নোভা কাখোভকা নামের ওই বাঁধ ধ্বংস হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের অভিযোগ, দিনিপ্রো নদীর যে পাড়টি রুশ অধিকৃত, সেখানে বন্যাদুর্গত মানুষদের কাছে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছতে দিচ্ছে না রাশিয়া।

এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণ এবং পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ডেনিস ব্রাউন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, “রুশ সেনা অধিকৃত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ জানালেও তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।” রাষ্ট্রপুঞ্জের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স রুশ প্রশাসনের এক মুখপাত্রের মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দিনিপ্রো নদীর ইউক্রেন অধ্যুষিত অংশে এখনও বোমাবর্ষণ চলছে। তাই সেখানে জাতিপুঞ্জের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে চাইছে না পুতিন প্রশাসন।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে অবশ্য এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবতা আইন অনুসারে বিপন্ন মানুষকে সহায়তা করার বিষয়ে তাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যাদের সাহায্য প্রয়োজন, তাদের তা থেকে বঞ্চিত করা যায় না বলেও জানিয়েছে জাতিপুঞ্জ। অন্য দিকে নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অংশে। মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় তাদের ৩৫ জনের নাগরিক মারা গিয়েছেন। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ১৭ জন নাগরিক মারা গিয়েছেন। ৩১ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। মোট ১১ হাজার মানুষকে নদী তীরবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।

নদীবাঁধ ভাঙার জন্য রাশিয়াকেই দুষেছে ইউক্রেন। দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশ এই মুহূর্তে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। খেরসনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্য সম্প্রতি নতুন করে সেনা তৎপরতা শুরু করেছিল ইউক্রেন। তাদের দাবি, সামরিক প্রত্যাঘাতকে রোখার জন্যই রুশ সেনা ওই কাজ করেছে। যদিও ইউক্রেনের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।

আরও পড়ুন
Advertisement