অফিসের কাজে তুরস্ক গিয়েছিলেন বিজয় কুমার। ছবি সংগৃহীত।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয়ের। শনিবার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের এক যুবকের দেহ। অফিসের কাজে গত মাসে তুরস্ক পাড়ি দিয়েছিলেন বিজয় কুমার। তাঁর বাঁ হাতে ট্যাটু ছিল। সেই ট্যাটু দেখেই তাঁর দেহ চিহ্নিত করেন বিজয়ের পরিজনরা।
গত সোমবার ভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮। ভয়াল কম্পনের জেরে দুই দেশে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ হাজার। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। সেই সময়ই উদ্ধার করা হয় বিজয়ের দেহ। ভূমিকম্পের পর থেকেই বিজয় নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। আগেই তাঁর পাসপোর্ট এবং ব্যাগ পাওয়া গিয়েছিল। শনিবার ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ের ছবি তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়। বাঁ হাতে ট্যাটু দেখে বিজয়কে চিহ্নিত করেন তাঁর পরিজনরা।
উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়ওয়ালের বাসিন্দা বিজয়। বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপনের ইঞ্জিনিয়র হিসাবে কর্মরত ছিলেন। অফিসের কাজের জন্য স্থানীয় এক ইঞ্জিনিয়রকে প্রথমে দায়িত্ব দিয়েছিল ওই সংস্থা। কিন্তু প্রথম বার তুরস্ক সফরের জন্য মুখিয়ে ছিলেন বিজয়। সেই কারণে ওই দায়িত্ব যাতে তাঁকে দেওয়া হয়, অফিসে সেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিজয়। প্রথম বার তুরস্কে গিয়ে আর ফেরা হল না তাঁর। বিজয়ের স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে।
গত ২৩ জাানুয়ারি তুরস্কে পৌঁছেছিলেন বিজয়। সে দেশের মালট্য শহরে একটি চার তারা হোটেলে ছিলেন তিনি। ওই হোটেলের ধ্বংসস্তূপ সরাতে গিয়েই বিজয়ের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিজয়ের খোঁজে ওই এলাকায় উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল ভারতও। গত কয়েক দিনে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও বিজয়ের দেহ না পাওয়া যাওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন সকলে। ভেবেছিলেন, বিজয় হয়তো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু, শনিবার সব আশা শেষ হয়ে গেল।