ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত প্রদেশগুলির ১০টি শহরে আপাতত কর্মী ছাঁটাই নিষিদ্ধ করল তুরস্ক। ছবি: রয়টার্স।
তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত প্রদেশগুলির ১০টি শহরে আপাতত কর্মী ছাঁটাই নিষিদ্ধ করল সে দেশের সরকার। পাশাপাশি, ওই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং নানা ক্ষেত্রের কর্মীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথাও বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর।
চলতি মাসের গোড়ায় তুরস্ক এবং সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় একের পর এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংসস্তূপের পরিণত হয়েছে দু’দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার এফ্যাড-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দু’দেশে মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজারের বেশি। আহতের সংখ্যাও ততোধিক বলে আশঙ্কা। শুধুমাত্র তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পের পর কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপে ঠিক কত সংখ্যক চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনও হিসাব নেই। এই আবহে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোয়ানের অনুরোধ মেনে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তুরস্কে ৩ মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে সে দেশের পার্লামেন্ট।
অর্থনীতিবিদদের দাবি, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ঘরবাড়ি এবং নানা পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ১০,০০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হতে পারে তুরস্কের। অন্য দিকে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারও ১-২ শতাংশ নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ভূমিকম্পের জেরে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। বুধবার সরকারি গেজ়েট তুরস্ক সরকারের ঘোষণা, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি শহরে সাময়িক ভাবে কর্মীদের কাজ থেকে ছাঁটাই করা যাবে না। এ ছাড়া, ভূমিকম্পের জেরে যে সমস্ত সংস্থার অফিস অত্যন্ত অথবা মোটামুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে সমস্ত সংস্থা মালিকেরাও আর্থিক সহায়তা পাবেন। সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী, ওই সংস্থাগুলির কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য আংশিক ভাবে আর্থিক সাহায্য করবে সরকার।