গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
চিন্ময়কৃষ্ণ কি এ বার জামিন পাবেন? শুনানি হওয়ার কথা চট্টগ্রামের সেই আদালতেই
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আদালতে গত ৩ ডিসেম্বর সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত রাখে চট্টগ্রাম আদালত। তিনি এখনও চট্টগ্রামের জেলে বন্দি রয়েছেন। আজ কি চিন্ময়কৃষ্ণের মামলা শুনানির জন্য উঠবে আদালতে? গত শুনানির আগে ইসকনের কলকাতা শাখার মুখপাত্র রাধারমণ দাস অভিযোগ করেন, চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের উপর হামলা হয়েছে এবং তিনি হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাচক্রে, গত শুনানির দিন চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে আদালতে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিমউদ্দিন চৌধুরী আদালতে জানান, ওই সন্ন্যাসীর হয়ে কোনও আইনজীবী কেন দাঁড়াননি, সে বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই। কোনও আইনজীবীকে ভয় দেখানো বা হুমকি দেওয়ার তথ্যও তাঁদের কাছে নেই বলে আদালতে দাবি করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি। এরই মধ্যে চিন্ময়ের ওই আইনজীবী রবীন্দ্র কলকাতায় এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। এই অবস্থায় আজ সেই চট্টগ্রাম আদালতে পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, সে দিকে নজর থাকবে।
পার্থ-সুজয়কৃষ্ণের চার্জ গঠনের শুনানি, কেমন আছেন ‘কাকু’
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়া চলছে বিচার ভবনে। মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ এবং রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সেই শুনানিতে আদালতের নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার্জ গঠনের সময়ে অভিযুক্তদের সশরীরে হাজির থাকতে হয় আদালতে। ‘কাকু’ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাই সে দিন চার্জ গঠন হয়নি। আজ ওই সংক্রান্ত শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। তবে বিচারক জানিয়েছেন, ‘কাকু’র শারীরিক অবস্থার উপরেই শুনানি নির্ভর করবে। সুজয়কৃষ্ণ বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর। সোমবার জেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর তাঁকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে বুধবার সন্ধ্যায় আবার হাসপাতাল বদল করা হয়েছে।
নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বছরের শুরুতেই প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের প্রতিটি জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। আজকের বৈঠক থেকে রাজ্য প্রশাসনকে মমতা কী বার্তা দেন, সেই খবরে নজর থাকবে।
অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’-এর সূচনা ডায়মন্ড হারবারে
আজ থেকে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচির মাধ্যমে এই লোকসভা এলাকার নাগরিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তাঁদের পরবর্তী চিকিৎসাও করানোর ঘোষণা করেছেন অভিষেক। এই কর্মসূচিতে প্রায় দেড় হাজার চিকিৎসক কাজ করবেন। বিষয়টিকে অনেকেই আরজি কর–কাণ্ডের পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে তৃণমূলের সেতুবন্ধনের উদ্যোগ হিসাবে অভিহিত করছেন। আজ অভিষেকের ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি সংক্রান্ত খবরে নজর থাকবে।
নামছে তাপমাত্রার পারদ, বছরের শুরুতেই ছন্দে শীত
নতুন বছরের শুরুতে কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরেছে শীত। একধাক্কায় পারদ নেমেছে তিন ডিগ্রি। পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। পুরুলিয়া এবং দার্জিলিঙের তাপমাত্রায় ফারাক ছিল মাত্র ২ ডিগ্রির! বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই সংক্রান্ত খবরের দিকে আজ নজর থাকবে।
পঞ্জাবের কৃষক আন্দোলন কোন পথে, নজর সুপ্রিম কোর্টে
গত ২৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশন শুরু করেছেন পঞ্জাবের কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। পঞ্জাব সরকারের বক্তব্য, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে চাইছে তারা। তবে তিনি কোনও চিকিৎসা পরিষেবা নিতে চাইছে না। তাঁদের জোর করে প্রতিবাদস্থল থেকে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন কৃষক নেতারা। ডাল্লেওয়াল চাইছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কেন্দ্র কথা বলুক। এই জটের মধ্যে ডাল্লেওয়ালকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আরও তিন দিন সময় চায় পঞ্জাব সরকার। ফলে মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আজ নজর থাকবে এই সংক্রান্ত খবরে।