সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এ বার অশান্তির ইঙ্গিত বলকান অঞ্চলে। বুধবার কসোভোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ়েলাল সেভেচলা অভিযোগ করেছেন, মস্কোর মদতে আবার কসভোকে অশান্ত করতে সক্রিয় হয়েছে সার্বিয়া।
ইউরোপের মুসলিম দেশ কসোভোর উত্তরাংশে খ্রিস্টান সার্ব গরিষ্ঠ এলাকা মিত্রোভিকাতে গত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলছে। কসোভো সরকারের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারীরা সার্বিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির দাবি তুলেছেন। জ়েলালের অভিযোগ রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সার্বিয়া সরকারের মদতেই সেখানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
একদা ইউরোপের বলকান অঞ্চলের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র যুগোশ্লাভিয়ার অন্তর্গত ছিল কসোভো। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় যুগোশ্লাভিয়ার ভাঙনের পরে মুসলিম গরিষ্ঠ কসোভো পরিণত হয় সার্বিয়ার একটি প্রদেশে। বস্তুত, তখন থেকেই ‘ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাসের’ কারণে সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি ওঠে।
১৯৯৯ সাল থেকে কসোভো রাষ্ট্রপুঞ্জের তত্ত্বাবধানে ছিল। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। পরে পশ্চিমী দুনিয়ার মতো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও পায়। কিন্তু সার্বিয়া এখনও কসোভোকে তার অঙ্গরাজ্য বলেই দাবি করে। উত্তর কসোভোর খ্রিস্টান সার্ব জনগোষ্ঠীও সার্বিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে গত কয়েক দিনে মিত্রোভিকা ও আশপাশের সার্ব গরিষ্ঠ অঞ্চলে অশান্তি শুরু হয়েছে। সীমান্তে সার্বিয়া সেনার ‘তৎপরতাও’ নজরে এসেছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের। ভ্লাদিমির পুতিনির ঘনিষ্ঠ সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজন্ডার ভুসিচ অবশ্য মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মদতেই নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে কসোভোয়।