রেখা গুপ্ত। ছবি: ফেসবুক।
দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনে কাউন্সিলর রেখা গুপ্তকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। সাম্প্রতিক পুরভোটে জেতা আসনের হিসাবে বিজেপি পিছিয়ে রয়েছে এই ভোটে। কিন্তু যে হেতু মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন গোপন ব্যালটে হয় এবং এ ক্ষেত্রে দলত্যাগ-বিরোধী আইন কাজ করে না, তাই আম আদমি পার্টি (আপ)-র বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের সমর্থন তলে তলে জোগাড়ের কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ডেপুটি মেয়র নির্বাচনে কমল বাগরীকে প্রার্থী করছে বিজেপি। আগামী ৬ জানুয়ারি এই দুই পদে নির্বাচন হতে চলেছে।
আপ মেয়র পদে প্রার্থী করেছে ইস্ট পটেল নগরের প্রথম বারের কাউন্সিলর, ৩৯ বছরের শেলি ওবেরয়কে। ডেপুটি মেয়র পদে তাদের প্রার্থী চাঁদনি মহল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলে মহম্মদ ইকবাল। গোড়ায় মেয়র পদে প্রার্থী না দিলেও গত কাল দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, পুরসভায় পদ পাওয়া নিয়ে আম আদমি পার্টির মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তার সুযোগ নিতে তাঁরাও মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদে প্রার্থী দেবেন। তাই শালিমার বাগ কেন্দ্রের জয়ী কাউন্সিলর রেখাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপ শিবিরের অভিযোগ, গোপন ব্যালট ও দলত্যাগ-বিরোধী আইনের ফাঁককে কাজে লাগিয়ে এখন আপের কাউন্সিলরদের ভোট কেনার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। ফলে আড়াইশো আসনের দিল্লি পুরসভায় ১৩৪টি আসন জিতেও স্বস্তিতে নেই আপ।
দিল্লি পুরসভার আসন আড়াইশোটি হলেও এখানে রাজ্যসভার তিন জন ও লোকসভার সাত জন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়কেরও ভোটাধিকার রয়েছে। যার অর্থ, মোট ২৭৪টি ভোটের মধ্যে যে দল ১৩৮টি ভোট পাবে, সেই দলের প্রার্থীই মেয়র পদে জয়ী হবেন। অঙ্কের হিসাবে ১৩৪ জন কাউন্সিলর, রাজ্যসভার তিন জন সাংসদ ও ১৩ জন বিধায়কের ভোট আপের পক্ষে রয়েছে। অর্থাৎ সবাই ভোট দিলে ১৫০টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচনে আপের প্রার্থীরই জেতা উচিত। অন্য দিকে, বিজেপি পুরভোটে পেয়েছে ১০৪টি আসন। গজেন্দ্র দারাল নামে এক নির্দল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া লোকসভার সাত সাংসদ ও এক বিধায়কের ভোট পাচ্ছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে পুরসভায় এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর দলের শক্তি ১১৩।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ৯ জন কাউন্সিলর, দু’জন নির্দল এবং বিক্ষুব্ধ আপ কাউন্সিলরদের কাছে টানার কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘লড়াই শক্ত, কিন্তু আপের মধ্যে পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে গৃহযুদ্ধ চলছে। তাকে হাতিয়ার করেই আপের মধ্যে ভাঙন ধরানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে হবে।’’