যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজ়রায়েল। —ফাইল চিত্র।
প্যালেস্তাইনের গাজ়ায় ক্রমবর্ধমান সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সৌদি আরব সরকার। মুসলিম দেশগুলির সংগঠনের সঙ্গে তারা একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছে। অর্গানাইজ়েশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-র সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিকে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
মুসলিম দেশগুলির সংগঠন ওআইসি-তে ৫৭টি সদস্য দেশ রয়েছে। সেই দেশগুলির প্রতিনিধি হিসাবে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকে পাঠিয়েছে সৌদি সরকার। বৈঠক হবে আগামী বুধবার সৌদির জেড্ডা শহরে। ওআইসি-র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গাজ়া এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ক্রমবর্ধমান সামরিক পরিস্থিতি ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করছে। নাগরিকদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বিধ্বস্ত। এই সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে মুসলমান দেশগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবে সৌদি আরব।
উল্লেখ্য, ওআইসি-র সদস্য তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, মিশর, বাংলাদেশের মতো দেশ। সৌদির এই জরুরি বৈঠকের ডাক আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি করেছে। ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে গাজ়ার সমর্থনে কি পাল্টা কোনও প্রত্যাঘাত গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে? ইজ়রায়েলের বিপরীতে একজোট হচ্ছে ওআইসি-র সদস্য মুসলিম দেশগুলি?
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে আচমকা হামলা চালিয়েছে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তাদের আক্রমণে বেশ কিছু প্রাণ গিয়েছে। তার পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই থেকে পশ্চিম এশিয়ার এই ভূখণ্ডে যুদ্ধ চলছে। অনবরত সাইরেনের শব্দ, মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগে বিধ্বস্ত ইজ়রায়েল এবং গাজ়া। হামাসকে ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। যুদ্ধে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলির সমর্থন পেয়েছেন তিনি। ভারতও ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে হামাসের হামলার বিরোধিতা করেছে।