Bangladesh Crisis

নিজে দায়িত্ব নিতে নারাজ, দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে দেখলেও আওয়ামী লীগ নিয়ে আশাবাদী জয়

বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ আওয়ামী লীগের নেতারা আতঙ্কে এলাকা থেকে বেপাত্তা। দেখা মিলছে না তাঁদের। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার দলের ভবিষ্যৎ কী? মুখ খুললেন হাসিনা-তনয় সজীব ওয়াজেদ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৩৫
Sajeeb Wazed Joy son of Former Bangladesh PM Sheikh Hasina comments on future of Awami League

(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে ফিরছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধের দিকে হতে পারে তাঁর শপথগ্রহণ। শোনা যাচ্ছে, আন্দোলনকারী ছাত্ররা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ১৫ জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করেছেন। মুদ্রার এক পিঠে যখন বাংলাদেশে নতুন গঠনের তোড়জোড় চলছে, ঠিক তখনই অন্য পিঠে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গা-ঢাকা দিতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীই প্রাণ সংশয়ে এলাকা থেকে বেপাত্তা।

Advertisement

এমতাবস্থায় কী হতে পারে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ? বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কি হারিয়ে যাবে শেখ মুজিবর রহমানের হাতে তৈরি সংগঠন? ‘বিবিসি’কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর দাবি, ‘‘দল টিকে থাকবে। ১৯৭৫ সালে যখন সেনার একাংশের অভ্যুত্থান হয়েছিল (যে সময়ে শেখ মুজিবরকে হত্যা করা হয়), তখনও টিকে গিয়েছিল দল। এ বারও সেভাবেই টিকে যাবে সংগঠন।’’ জয়ের কথায়, “এই দল হল আদর্শের দল। দেশের এক মাত্র গণতান্ত্রিক দল, যা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে গণতান্ত্রিক ভাবে গঠিত হয়েছিল।”

হাসিনা-তনয়ের অভিযোগ, বর্তমানের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁদের দলকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, নেতা ও কর্মীদের উপর হামলা চলছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দলের নেতা-মন্ত্রীরা কেউ লুকিয়ে গিয়েছেন, কেউ বিদেশে চলে গিয়েছেন, সে কথাও মানছেন জয়।

প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর হাসিনা নিজেও দেশ ছেড়েছেন। আপাতত তিনি রয়েছেন ভারতে। জয় আগেই দাবি করেছেন, তাঁর মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। সেক্ষেত্রে দলের হাল ধরবেন কে? লন্ডন নিবাসী জয় কি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেবেন? হাসিনা-পুত্রের দাবি, এমন কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। তিনি বলেন, “এটি আমার পরিবারের জন্য তৃতীয় ধাক্কা। যেমন মানুষ, তাঁদের তেমন নেতাই পাওয়া উচিত।”

বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠনের তোড়জোড় চলছে। কিন্তু যে দল গত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশ শাসন করেছে, যারা দাবি করে তারা বাংলাদেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল, তার নেতৃত্ব রাতারাতি উবে গিয়েছেন। এ বারের অন্তর্বর্তী সরকারে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য জয়ের দাবি, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগকে কোনও ভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।’ এর পর যে নির্বাচন হবে, সেখানেও বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে দেবে না বলে সন্দেহ হাসিনা-তনয়ের। তাঁর কথায়, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।” তিনি বলেন, ‘‘একটা সময় আসবে যখন বাংলাদেশের মানুষ পিছনে তাকিয়ে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের সময়কে স্বর্ণযুগ বলে মনে করবেন। সে দিন তাঁরা আফশোস করবেন।”

ওই সাক্ষাৎকারে জয় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। হাসিনা কেমন আছেন, জানতে চাওয়ায় জয় জানান, তাঁর মা ব্যথিত। বাংলাদেশের মানুষের আচরণে তিনি কষ্ট পেয়েছেন বলে মন্তব্য জয়ের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement