ওয়াগনার বাহিনী সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুটে ঢুকে পড়েছে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রুশ সেনার আপত্তি উপেক্ষা করেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনী সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুটে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠল। এর ফলে ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকার এই গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের লড়াইয়ে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানুয়ারির গোড়া থেকে শুরু হওয়া বাখমুট দখলের লড়াইয়ে রুশ ফৌজের পাশাপাশি, মস্কো-পন্থী ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার বাহিনী অংশ নিচ্ছে। তাদের কিছু কার্যকলাপে ইতিমধ্যেই রুশ সেনা আধিকারিকদের একাংশ উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে সোমবার পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জ়াজিরায় প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে। ওই খবরে দাবি, রুশ সেনার সদর দফতরে ওয়াগনার বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের ‘প্রবেশ নিষেধ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুট শহরে যুদ্ধের আগে ছিল ৭০ হাজারের বেশি মানুষের বাস। কিন্তু কয়েক মাসের লড়াইয়ে এখন শহরটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাখমুট দখল করতে পারলে রুশ বাহিনীর পক্ষে ডনেৎস্ক অঞ্চলের অন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্রামাতোরস্ক এবং স্লোভিয়ানস্ক দখলের পথও খুলে যাবে।
ফেব্রুয়ারির গোড়ায় তীব্র লড়াইয়ের পর ইউক্রেন ফৌজের হাত থেকে বাখমুটের শহরতলি ব্লাহোডৎনে দখল করে রুশ সেনা। এর পর থেকেই বাখমুটের পতনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই ডনেৎস্ক এলাকার গুরুত্বপূর্ণ শহর সোলেদার দখল করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। ওই এলাকার আর দু’টি শহর, ভুহলেদর এবং ক্রামাতোরস্কের দখল ঘিরেও দু’পক্ষের লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাখমুট হাতছাড়া হলে গোটা ডনবাস এলাকা জুড়ে জ়েলেনস্কি বাহিনীর প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।