বিদ্বেষমূলক আক্রমণ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে টুইটারে। — ফাইল চিত্র।
মাত্র কিছু দিন আগেই বহুল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটার কিনেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কিন্তু একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মালিকানা বদলের পর পরই এক ধাক্কায় ওই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক আক্রমণ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তাদের রিপোর্টে এমনটা দাবি করেছে ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’ নামে একটি সংস্থা।
ওই ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ সংস্থার গবেষকেরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরের বাকি মাসগুলোয় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ যে পরিমাণে ছিল, গত কয়েক সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার গুণ। শুধু কৃষ্ণাঙ্গেরাই নন, টুইটারের বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন, রুপান্তরকামী এবং সমকামী পুরুষেরা। ছাড় পাচ্ছেন না ইহুদিরাও।
ওই সংস্থাটি জানাচ্ছে, গত কয়েক সপ্তাহে গোটা বিশ্বে ইংরেজিতে করা মোট ৮০ হাজার টুইট ও সেগুলির রিটুইট নিয়ে গবেষণা করেছে তারা। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ইংরেজিতে লেখা টুইটগুলোয় বিদ্বেষমূলক আক্রমণের পরিমাণ সব থেকে বেশি।
টুইটারে ছাঁটাই বিতর্কের মধ্যেই গত কাল নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সংস্থার ‘ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি’ বিভাগের প্রধান ইয়োয়েল রথ। বস্তুত পদত্যাগ দেওয়ার দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক আক্রমণ সম্প্রতি বেড়েছে। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি ছিল, এই ধরনের টুইটে রাশ টানতে সংস্থা সম্প্রতি নানা সদর্থক পদক্ষেপও নিয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর সংস্থার তরফে জানানো হয়ে যে, বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে দেড় হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তাঁর সংস্থার মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি মাস্ক। বরং জানিয়েছিলেন, তিনি বাক্ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তিনি টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পরে সংস্থার নানা নীতি পাল্টাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি মাস্ক।