ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
শেখ হাসিনার বাসভবন তো বটেই তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁর বিছানারও দখল নিলেন আন্দোলনকারীরা। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তাতে দেখা যাচ্ছে এক তরুণ আন্দোলনকারী হাসিনার বিছানায় জুতো পরে শুয়ে এক পা অন্য পায়ের উপর তুলে চিৎকার করছেন ‘‘গণভবন আমাদের দখলে’’। যে বিছানায় হয়তো কয়েক ঘণ্টা আগেই বিনিদ্র রাত কেটেছে বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার।
সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঢাকার বাসভবন, গণভবন ছেড়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ের’ উদ্দেশে রওনা হন হাসিনা এবং তাঁর বোন। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গণভবনে চড়াও হন কয়েক হাজার মানুষ। চলতে থাকে যথেচ্ছ লুটপাট। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ লিখেছে বহু সাধারণ মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়ে। তাঁদের হাতে গণভবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্রও দেখা যায়। গণভবনের ভিতর থেকে ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে নানা আসবাব সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে আসার ছবি, ভিডিয়োও প্রকাশ্যে আসে। সেই রকমই একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে প্রকাশ করেন বাংলাদেশের এক ছাত্র আন্দোলনকারী। ভিডিয়োর বিবরণে লেখা ‘হাসিনার রুমে’। তাতে দেখা যাচ্ছে মাথায় বাংলাদেশের পতাকার ফেট্টি বাঁধা এক তরুণ পায়ে জুতো পরে উঠে পড়েছেন একটি পরিপাটি নীল চাদরে মোড়া বিছানায়। পায়ের উপর পা তুলে বিছানায় শুয়ে তিনি চিৎকার করে জানাচ্ছেন, তাঁরা গণভবনের দখল নিয়েছেন।
আরও একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে গণভবনের পাকশালে রান্না করা খাবারে দেদার ভোজ সারছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ (সেই ভিডিয়োরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তবে সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশের অনেকেই ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, আন্দোলনকারীরা গণভবনের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছেন। সোমবার হাসিনার পদত্যাগের খবর আসে অকস্মাৎই। তাঁকে যে বাড়ি ছাড়তে হতে পারে, সে খবর সম্ভবত জানা ছিল না গণভবনের রান্নাঘরের দায়িত্বে যিনি বা যাঁরা থাকেন তাঁদেরও। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে থরে থরে ট্রে ভরে সাজানা রয়েছে ভাত, ডাল, মাংসের পাশাপাশি নানা পদ। ভিডিয়োয় দেখা যায় সেই খাবারে হামলে পড়েছেন কিছু তরুণ। তারিয়ে তারিয়ে মাংসের হাড় চিবোচ্ছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীরা গণভবনের সাঁতারের পুলে নেমে সাঁতারও কেটেছেন। পরে তার প্রামাণ্য নথিও মিলেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স গণভবনের চত্বরের ভিতরে থাকা সেই সরোবরে বহু মানুষের সাঁতারের ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সরোবরের উপরের পাইপে চড়ে বসেছেন বহু মানুষ। সরোবরের উপরের পায়ে চলা একটি ছোট সেতুতেও ভিড় করেছেন অনেকে।