চাল-ডালের পসরা সাজিয়ে পাক ব্যবসায়ী। —ফাইল চিত্র ।
কুড়ি কিলো আটার দাম ৩২০০ টাকা! অর্থাৎ, কিলো প্রতি ১৬০ টাকা। অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়া পাকিস্তানে এই অগ্নিমূল্যেই আটা কিনছেন করাচির মানুষ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘অ্যারি নিউজ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ‘সবচেয়ে দামি’ আটা বিক্রি হচ্ছে করাচিতে। ‘পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স (পিবিএস)’-এর একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে বলেও সেই সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, করাচিতে আটার দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সেই শহরে আটার দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের বাকি শহরগুলিতেও আটার দাম করাচির মতোই আকাশছোঁয়া। ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, শিয়ালকোট, মুলতান, সুক্কুর এবং খুজদার— সব জায়গাতেই বৃদ্ধি পেয়েছে আটার দাম। আটার পাশাপাশি, চিনির মূল্য বৃদ্ধি নিয়েও মাথায় পাক জনগণের।
উল্লেখযোগ্য যে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এআইএউ)’-এর রিপোর্টে করাচিকে বিশ্বের ‘অবাসযোগ্য’ শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়াগা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা এখন আর কারও অজানা নয়। দেশটি দীর্ঘ সময় ধরে অর্থনৈতিক টানাপড়েনে জর্জরিত। ইসলামাবাদের মাথায় চেপেছে ঋণের পাহাড়প্রমাণ বোঝা। পাকিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা দিয়ে এক মাসের আমদানিও ঠিক মতো করা সম্ভব নয়। তাই বিদেশি মুদ্রার খরচে লাগাম টানতে পাকিস্তান আমদানি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। আকাশ ছুঁয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
(এই প্রতিবেদন প্রথম প্রকাশের সময় করাচিতে এক কেজি আটার দাম ৩২০ টাকা লেখা হয়েছিল। এই তথ্যটি ভুল। প্রকৃত মূল্য ১৬০ টাকা। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)