বাংলাদেশের গণভবনের সামনে জিনিস ফেরত নেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’ লুট হয়েছিল। শয়ে শয়ে মানুষ গত সোমবার সেখানে ঢুকে পড়েছিলেন। লুটের তালিকায় পোষ্য থেকে শুরু করে পরনের জামাকাপড় কিংবা টেবিল, চেয়ার কিছুই বাদ যায়নি। তবে লুট হওয়া জিনিসপত্র আবার ফেরতও দিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রিন্টার, কম্পিউটারের সিপিইউ, জামাকাপড় এবং কিছু বইপত্র ফেরত এসেছে।
সোমবার হাসিনা গণভবন ছেড়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে তেমন কোনও নিরাপত্তা ছিল না। যখন তখন যে কেউ ঢুকে পড়ছিলেন সেখানে। শুধু গণভবন নয়, বাংলাদেশের সংসদ ভবনেও লুটপাট চলছিল অবাধে। বুধবার থেকে গণভবন এবং সংসদ ভবনে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যেরা পাহারা দিচ্ছেন সরকারি ভবন। যে সমস্ত জায়গার দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছিল, সাময়িক ভাবে সেখানে ফাটল বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও কাঁটাতার বসানো হয়েছে, কোথাও আবার টিন বা তক্তা দিয়ে ফাটল বোজানো হয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের কয়েক জন ছাত্রছাত্রী বুধবার সংসদ ভবন এবং গণভবনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে লুটের জিনিস ফেরত নিচ্ছিলেন। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘এখানে গণভবন ও সংসদ ভবনের জিনিসপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে।’’ অনেকেই সেখানে জিনিস জমা দিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
এখনও পর্যন্ত লুটের জিনিসের মধ্যে ফেরত এসেছে কম্পিউটারের একটি সিপিইউ, একটি প্রিন্টার, ওয়াকিটকি, কিছু বই, কিছু জামাকাপড়। যত্ন করে সেগুলি রেখে দেওয়া হয়েছে। কেন লুট করা হয়েছিল? কেনই বা আবার জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে? সংগ্রহকারী ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অনেকেই উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে গণভবনে ঢুকে পড়েছিলেন। বাকিদের দেখাদেখি জিনিস তুলেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তাই আবার ফেরত দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দেখতেও আসছেন অনেকে। তবে বুধবার থেকে আর সেখানে সকলে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন না। অনেককেই গণভবনের দুয়ার থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি সেনা।