জাঁকিয়ে বসার আগেই পশ্চিমবঙ্গে শীতের বিদায়ক্ষণ উপস্থিত। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে জাঁকিয়ে বসতে পারল না শীত। চলতি মরসুমে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার আগেই শীত বিদায়ের ক্ষণ উপস্থিত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রা আবার কিছুটা কমতে পারে। তবে মাসের মাঝামাঝি সময়েই শীত এ বছরের মতো বিদায় নেবে।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৬ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি বেশি। মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণেই তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। আগামী কয়েক দিনে নতুন করে আরও পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকতে পারে বাংলায়।
দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। কুয়াশার কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং পুরুলিয়ায়। এই জেলাগুলিতে সকালের দিকে কুয়াশার কারণে কমতে পারে দৃশ্যমানতা। বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ঘন কুয়াশা থাকবে। আপাতত আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রার বড়সড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গেও আবহাওয়া মূলত শুকনো থাকবে। শুধু দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে। মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও ঘন কুয়াশা থাকতে পারে শনিবার। এই জেলাগুলিতে দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে ১৫০ থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে।
শীতের বিদায়পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে জোড়া পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে পারে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে ১ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি।