পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি (বাম দিকে)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখে আবার শোনা গেল কাশ্মীর প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে ভারতের উদ্দেশেও তোপ দাগলেন শাহবাজ শরিফ। নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর পাশে যে পাকিস্তান রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শাহবাজ।
রবিবার পাকিস্তানে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ পালিত হয়। শাহবাজের দাদা নওয়াজ শরিফ ১৯৯১ সালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে এই দিনটির সূচনা করেন। প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি এই সংহতি দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, এই বিশেষ দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছেন সে দেশের রাজনীতিকরা। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শাহবাজ রবিবার সকালে টুইট করে লেখেন, “কাশ্মীরের মানুষরা ভারতের দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধারাবাহিক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা স্বাধীনতার দীপকে নিভতে দেননি। আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে, খুব শীঘ্রই তাঁদের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলেছে।”
প্রায় একই সুরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি ভারতকে আক্রমণ করে বলেন, “কাশ্মীরিদের নিজভূমেই এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছে।” অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, কাশ্মীর উপত্যকায় পরিকল্পনা মাফিক অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের বসতি স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে ভারত সরকার। এর ফলে কাশ্মীরের ভূমিপুত্রদের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগেও রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ভারতের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে় পাকিস্তান। এর পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন-সহ একাধিক অভিযোগে পাক সরকারকে বিঁধেছে ভারত। কিছু দিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে বিলাবল প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদী ‘গুজরাতের কসাই’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। দেশের নানা প্রান্তে বেনজির-পুত্রের কুশপুতুল দাহ করেছিল দেশের শাসকদল বিজেপি।