—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তালিবান শাসিত আফগানিস্তান ‘জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চলে’ পরিণত হয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগ তুলল পাকিস্তান! বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-র মাজেদ ব্রিগেড, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর মতো গোষ্ঠীগুলি আফগানিস্তানের মাটিতেই প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র পাচ্ছে বলে নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিশেষ আলোচনাসভায় রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের দূত সৈয়দ আতিফ রাজা অভিযোগ করেছেন।
আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে আয়োজিত ‘ছোট এবং হালকা অস্ত্রের ব্যবহার ও বিপদ’ সংক্রান্ত ওই আলোচনাসভায় রাজার অভিযোগ, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের পরে ফেলে আসা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের একাংশ পেয়েছে বিএলএ, টিটিপির মতো গোষ্ঠীগুলি! তিনি বলেন, ‘‘আফগানিস্তানকে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করে জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা ছড়াচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা প্রতিরোধে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক তৎপরতার প্রয়োজন।’’
অতীতে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। কিন্তু ইসলামবাদ বরাবরই সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ বার কার্যত বালোচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে একই অভিযোগ তুলল পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। যদিও সরাসরি আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেননি রাজা।
সাম্প্রতিককালে টিটিপির শিবির ধ্বংস করতে আফগানিস্তানের মাটিতে পাক বিমানহানা ঘিরে ইসলামাবাদ-কাবুল সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর আগে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই তাদের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। একদা সখ্য থাকলেও ডিসেম্বরের বিমানহানার পর থেকে পাক-তালিবান বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে।