নোবেল জয়ী আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
বৃদ্ধি বা আর্থিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা কতটা। কোনও দেশের আর্থিক হাল সে দেশের ব্যাঙ্কগুলির পেশাদারি দক্ষতা এবং কার্যকলাপের উপর কী ভাবে বা নির্ভর করে। কী ভাবেই বা তা প্রভাব ফেলতে থাকে স্থান-কালের গণ্ডি অতিক্রম করে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেই এ বার অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদ— বেন বার্নানকে, ডগলাস ডায়মন্ড এবং ফিলিপ ডিবভিগ।
সোমবার সুইডেনের নোবেল কমিটির (রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস) তরফে ২০২২ সালের অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপক হিসাবে তাঁদের নাম ঘোষণা করে বলা হয়েছে, ‘‘অর্থনীতিতে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা, বিশেষত আর্থিক সঙ্কটের সময় বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণের জন্য তাদের কার্যকলাপ অনুধাবন করতে তিন অর্থনীতিবিদ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।’’
৬৮ বছরের বার্নানকে ওয়াশিংটন ডিসির ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের গবেষক। তাঁরই সমবয়সি ডায়মন্ড শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়েরর অধ্যাপক। ৬৭ বছরের ফিলিপ রয়েছেন সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগামী ১০ ডিসেম্বর আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নোবেল পুরস্কার। মোট পুরস্কার-মূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনর (প্রায় ১০ লক্ষ ডলার বা সাড়ে ৭ কোটি টাকা) সমান ভাবে ভাগাভাগি হবে তিন জনের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, আশির দশকের গোড়ার দিক থেকেই তিন অর্থনীতিবিদ তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে,আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলার ব্যাঙ্কের বহুমুখী ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। ২০২১ সালেও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদ— ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট এবং গুইডো ডব্লিউ ইমবেনস।