(বাঁ দিকে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নন। বদলে গেল ঘোষণাকারীর নাম। বাংলাদেশে ছোটদের নতুন পাঠ্যবই চালু হয়েছে ২০২৫ সাল থেকে। সেখানে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাকারী হিসাবে রয়েছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমানের নাম। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি বাংলাদেশের সেনা মেজর ছিলেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ওই সময়কার তথ্য বদলে দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ওই পাঠ্যবইগুলি কার্যকর করা হচ্ছে।
এত দিন বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে লেখা থাকত, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বেতার বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মুজিবুর। তার পর পাকিস্তানের সেনার হাতে তিনি গ্রেফতার হন। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি বাংলাদেশের গবেষণাকারীদের একাংশের। পাঠ্যবই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন গবেষক রাখাল রাহা। তাঁর দাবি, এটি ‘অতিরঞ্জিত এবং আরোপিত ইতিহাস’। এই তথ্যের বাস্তব ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের নতুন পাঠ্যবইগুলিতে লেখা থাকছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন জিয়াউর। তার পর ২৭ মার্চ তিনি আরও এক বার একই ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধুর তরফ থেকে।
বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে মুজিবকে আর ‘জাতির পিতা’ হিসাবে উল্লেখ করা হচ্ছে না বলেও খবর। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে এই পরিবর্তনগুলি করা হচ্ছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশে মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ওই পাঠ্যবইগুলি চালু করা হয়েছিল।
গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন হাসিনা। গণবিক্ষোভের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে চলে এসেছেন ভারতে। ৮ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতায় এসেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তার পরেই পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।