Nepal Government

নেপালে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অনুমতি ভারতকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওলির অভিযোগ ওড়াল প্রচণ্ডের সরকার

কিছু দিন আগে ওলি জানান, নেপালের তিব্বত সীমান্তঘেঁষা মুসতাংয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাইছে ভারত। তাঁর অভিযোগ, ভারতকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৭:২২
Nepal refuses allegations of KPS Oli about establishment of Buddhist University in areas close to China

তখন সুসময়— প্রচণ্ড এবং ওলি। ফাইল চিত্র।

নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপিএস ওলি অভিযোগ করেছিলেন, দেশের মাটিতে ভারতকে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সোমবার ওলির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিল নেপাল সরকার। নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড সিপিএন-ইউএমএল দলের নেতা ওলির সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু পরে মতপার্থক্যের কারণে এই জোট ভেঙে যায়। অন্য দলের সমর্থনে ক্ষমতা ধরে রাখেন প্রচণ্ড। রবিবার সরকারের এক মুখপাত্র ওলির অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দেন, ভারতকে নেপালের মাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অনুমতি দেয়নি নেপাল সরকার।

Advertisement

কিছু দিন আগেই ওলি জানান, নেপালের তিব্বত সীমান্তঘেঁষা মুসতাং জেলায় গৌতম বুদ্ধের জীবন এবং কাজ সম্পর্কে চর্চা করার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে চাইছে ভারত। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ভারতকে তার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বলেন, “দেশের সরকার বিদেশিদের জন্য দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে।” তিব্বতলাগোয়া অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অনুমতি দিয়ে চিনের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বেশ কয়েক দশক ধরেই তিব্বতকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে থাকে চিন।

নেপাল সরকারের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, মুসতাং জেলার মুসতাং শাক্য বুদ্ধ সঙ্ঘের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার জন্য ভারত সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। নেপাল সরকারের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব গিয়ে পৌঁছয় নয়াদিল্লিতে। নেপাল সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পরিকাঠামো নির্মাণে বেশ কিছু অর্থও বিনিয়োগ করেছে ভারত সরকার। তবে রবিবার নেপালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি দেশের সরকার। ওলির প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে তাঁর ‘চিনঘেঁষা’ নীতির জন্য নয়াদিল্লি এবং কাঠমান্ডুর মধ্যে ‘দূরত্ব’ বেড়েছিল। তবে প্রচণ্ড দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে চান বলেই মত কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের।

Advertisement
আরও পড়ুন