Covid in China

সংক্রমণে জেরবার দেশ, আকাল রক্তেরও, এরই মধ্যে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ বন্ধ করল চিন

রেডিয়ো ফ্রি এশিয়া-র দাবি, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে চিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সেই তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০১
চিনে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। ছবি পিটিআই।

চিনে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। ছবি পিটিআই।

সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই কোভিড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিল চিন। রবিবার থেকে এ বিষয়ে আর কোনও তথ্য দেবে না বলে জানিয়েছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি)।

এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করেছে এনএইচসি। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “এ বার থেকে দেশের কোভিড সংক্রান্ত আর কোনও তথ্য দেবে না এনএইচসি। কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করবে সেন্টার ডিজ়িজ় ফর কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।” তবে কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি এনএইচসি। শুধু তাই-ই নয়, কী ভাবে এবং কোন সময়ে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে সিডিসি, সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

Advertisement

চিনে যে ভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে সে দেশেরই বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, সংক্রমণের হার যা, তার তুলনায় অনেকটাই কম দেখাচ্ছে প্রশাসন। হাসপাতালগুলি রোগীর ভিড়ে উপচে পড়ছে। আইসিইউ, ওষুধের আকাল দেখা দিয়েছে। এমনকি, হাসপাতালের মর্গ, শ্মশান উপচে পড়ছে মরদেহে। তার মধ্যেই নতুন করে আকাল দেখা দিয়েছে রক্তের। চিনের বিভিন্ন প্রান্তে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজন মতো রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য আবেদনও করা হচ্ছে কোনও কোনও জায়গায়।

রেডিয়ো ফ্রি এশিয়া-র দাবি, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে চিনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সেই তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারি তথ্য বলছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত চিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লক্ষ।

আরও পড়ুন
Advertisement