South Korea Plane Crash

বিমান থেকে ছিটকেও পড়ে যান কেউ কেউ! দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু কী ভাবে

বিমানের চাকা না খোলায় রানওয়ের উপর তা ঘষটাতে শুরু করে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনেক যাত্রী বিমান থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন।।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৯
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স।

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে শুধু দু’জনকে। তাঁরা দু’জনেই বিমানকর্মী। কিন্তু কী ভাবে এত মানুষের মৃত্যু হল? ঠিক কী ঘটেছিল মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে? দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনেক যাত্রী বিমান থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যান। এ ছাড়া, বিমানে আগুন ধরে যাওয়ায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণের সময়ে তার চাকা খোলেনি। ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান। রানওয়ে ছুঁলেও বিমান দাঁড় করানো যায়নি। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি রানওয়ের উপর দিয়ে ঘষটাতে ঘষটাতে এগোচ্ছে। তার পর বিমানবন্দরের পাঁচিলে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খাচ্ছে। মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়। (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)

প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকে বলছেন, বিমানটির অবতরণের সময়ে কিছু গোলমাল হচ্ছে, আঁচ করেছিলেন ভিতরের যাত্রীরাও। দেওয়ালে সংঘর্ষের পর অনেকে ছিটকে নীচে পড়েছিলেন। বিমানে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার পর ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল। তাতে ছিলেন ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মী। মুয়ান শহরে অবতরণের সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। একে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ঙ্কর’ বিমান দুর্ঘটনা বলছেন অনেকে।

গত ২৫ ডিসেম্বর আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে কাজ়াখস্তানের উপর। জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু বিমান তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ওই বিমানে ৬৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জনকে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার বিমান দুর্ঘটনা।

Advertisement
আরও পড়ুন