India-Maldives Relationship

১০ মের পর মলদ্বীপে এক জনও ভারতীয় সেনা নয়, সাধারণ পোশাকেও নয়, হুঁশিয়ারি প্রেসিজেন্ট মুইজ্জুর

মলদ্বীপে এখন বিমান ক্ষেত্রের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনা। ১০ মার্চের মধ্যে তিনটির একটি থেকে সরাতে হবে সেনা। সেই জায়গায় দায়িত্ব নেবে ভারতীয় সরকারি কর্মীদের একটি দল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪ ২০:৪১
representational image of maldives

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আগামী ১০ মের পর মলদ্বীপে কোনও ভারতীয় সেনা থাকবে না। এমনকি, উর্দি ছাড়া সাধারণ পোশাকেও নয়। জানিয়ে দিয়েছেন মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সংবাদমাধ্যম এমনটাই দাবি করেছে।

Advertisement

মলদ্বীপে এখন বিমান ক্ষেত্রের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনা। ১০ মার্চের মধ্যে তিনটির একটি থেকে সরাতে হবে সেনা। সেই জায়গায় দায়িত্ব নেবে ভারতীয় সরকারি কর্মীদের একটি দল। সেই দলটি মলদ্বীপে পৌঁছনোর দিন কয়েকের মধ্যেই এই মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সেই বক্তব্য তুলে ধরেছে। সেখানে অ্যাটলে একটি জনসভায় মুইজ্জু বলেন, ‘‘এই লোকজন (ভারতীয়) ফিরে যাচ্ছেন না। কেবল উর্দি ছেড়ে সাধারণ পোশাকে এসে হাজির হচ্ছেন। এই ধরনের ভাবনাচিন্তাকে প্ররোচনা দেওয়া উচিত নয়, যা আমাদের মনে সন্দেহ তৈরি করে, মিথ্যা ছড়ায়।’’

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, এর পরেই মুইজ্জু বলেন, ‘‘১০ মের পর দেশে কোনও ভারতীয় বাহিনী থাকবে না। উর্দিতেও না, উর্দি ছাড়া অসামরিক পোশাকেও নয়। ভারতীয় বাহিনী এ দেশে কোনও ভাবেই থাকবে না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি।’’

২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারত এবং মলদ্বীপের মধ্যে একটি শীর্ষস্তরীয় বৈঠক হয়। তার পরেই মলদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রক দাবি করে, ১০ মের মধ্যে মলদ্বীপের তিনটি বিমান ক্ষেত্র থেকে বাহিনী সরাবে ভারত। প্রথম ধাপে ১০ মার্চের মধ্যে একটি বিমানক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বাহিনী। ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদেও মুইজ্জু একই দাবি করেছিলেন। মলদ্বীপের তিনটি বিমানক্ষেত্রে এখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৮৮ জন সদস্য রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে তারা দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমানের মাধ্যমে জরুরিকালীন পরিষেবা দিচ্ছেন মলদ্বীপবাসীকে। অসুস্থদের আকাশপথে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো কাজ তারা করে থাকেন।

এ দিকে, সামরিক ক্ষেত্রে মলদ্বীপকে নিঃশর্তে সহযোগিতা করবে চিন। দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়াকে আরও ‘জোরদার’ করার লক্ষ্যে সোমবারই দুই দেশেই মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ক্ষমতায় এসেই ভারতকে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর আর্জি জানিয়েছিল ‘চিন-পন্থী’ মুইজ্জু সরকার। এই আবহেই এ বার সামরিক ক্ষেত্রে চিন-মলদ্বীপ আরও কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিল। কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের অনুমান, বিগত কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লি যে সামরিক সহযোগিতার হাত মলদ্বীপের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল, এ বার তার বিকল্প হিসাবে চিনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার।

আরও পড়ুন
Advertisement