Child Abuse

‘ঘুমোচ্ছিস না কেন?’ একরত্তি শিশুকে কামড়ে দিলেন পরিচারিকা, নরম হাতে দগদগে ক্ষত

সিঙ্গাপুরে ১৪ মাসের শিশুকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগে পরিচারিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই মামলার রায় দিয়েছে আদালত। অভিযুক্তকে ৬ মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
সিঙ্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ২০:১৫
Maid allegedly bites child who refused to sleep in Singapore.

১৪ মাসের শিশুকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ পরিচারিকার বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

শিশুকে ঘুম পাড়াতে না পেরে বিরক্ত হয়ে তার হাতে কামড়ে দিলেন পরিচারিকা। একরত্তি শিশুর হাতে তাঁর দাঁত বসে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে শিশুর নরম হাতে দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে।

ঘটনাটি সিঙ্গাপুরের। ১৪ মাসের এক শিশুকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগে পরিচারিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন শিশুর মা। সম্প্রতি সেই মামলার রায় দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত পরিচারিকাকে ৬ মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাড়িতে ২০২১ সাল থেকে পরিচারিকার কাজ করতেন ৩৩ বছর বয়সি মাসিতা খোরিদাতুরোচমা। বাড়ির দুই যমজ শিশুর দেখাশোনার ভার ছিল তাঁর উপর। শিশুর মা কাজের সূত্রে সারা দিন বাইরে থাকতেন। পরিচারিকার উপরেই শিশুদের পরিচর্যার জন্য ভরসা করতেন তিনি। ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ২৬ মে। অন্যান্য দিনের মতো শিশুদের নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন পরিচারিকা। অভিযোগ, শিশুটিকে ঘুম পাড়াতে না পেরে তিনি অধৈর্য হয়ে পড়েন। রাগের মাথায় এক সময় শিশুটির হাতে ইচ্ছা করেই কামড়ে দেন। শিশুর নরম হাতে পরিচারিকার দাঁতের দাগ বসে গিয়েছিল।

সন্ধ্যায় শিশুটির মা বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি হাতের ওই ক্ষতস্থান দেখতে পেয়ে পরিচারিকাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। পরিচারিকা প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও পরে নিজের অপরাধ মেনে নেন। ক্ষমাও চান। কিন্তু শিশুটির মা তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালতে দীর্ঘ দিন এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলে। অবশেষে মঙ্গলবার শুনানির পর রায় দিয়েছেন বিচারক। তিনি অভিযুক্ত পরিচারিকাকে ৬ মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিশুটির পরিবার বিশ্বাস করে পরিচারিকাকে শিশুর পরিচর্যার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত মহিলা সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement