Execution

বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত, স্বচক্ষে সে দৃশ্য দেখতে চেয়ে আদালতে আবেদন কন্যার

বাবার জীবনের শেষ মুহূর্ত দেখতে চেয়ে ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ় ইউনিয়ন’ (এসিএলইউ)-এর কাছে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করেন ১৯ বছর বয়সি কোরিওনজ়া র‌্যামে। ওই আবেদন পৌঁছয় মিসৌরি আদালতে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৫
বাবা যখন গ্রেফতার হন, মেয়ের বয়স তখন মাত্র ২ বছর।

বাবা যখন গ্রেফতার হন, মেয়ের বয়স তখন মাত্র ২ বছর। ছবি: সংগৃহীত।

খুনের অভিযোগে বাবাকে যখন পুলিশ আটক করে মেয়েটির বয়স তখন মাত্র ২ বছর। বড় হয়ে ওঠা মায়ের কাছে। ১৯ বছর বয়সে এসে মেয়ে খবর পেলেন ওই মামলায় বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর পর প্রশাসনের কাছে দৌড় দেন মেয়ে। বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে বাবাকে মেরে ফেলার মুহূর্তটুকু দেখতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। যদিও ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত। আর কয়েক দিন বাদেই বাবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। তার আগে ভগ্নহৃদয়ে আবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন মেয়ে।

ঘটনাটি ২০০৫ সালের। আমেরিকার মিসৌরিতে খুন এক পুলিশ অফিসার। অভিযুক্ত কেভিন জনসনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন কেভিনের বয়স ছিল ৩৭ বছর। মেয়ের ২। এর পর দীর্ঘ ১৭ বছর জেল খেটেছেন তিনি। সম্প্রতি ওই খুনের মামলায় তাঁর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আগামী সপ্তাহেই কেভিনের শরীরে ফোটানো হবে বিষ ইঞ্জেকশন। বাবার জীবনের শেষ মুহূর্ত দেখতে চেয়ে ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ় ইউনিয়ন’ (এসিএলইউ)-এর কাছে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন করেন ১৯ বছর বয়সি কোরিওনজ়া র‌্যামে। ওই আবেদন পৌঁছয় মিসৌরি আদালতে। তবে পত্রপাঠ সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।

Advertisement

আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২১ বছরের নীচে কোনও ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড চাক্ষুষ করতে পারবেন না। যদিও কোরিওনজ়ার হয়ে আদালতে এসিএলইউ দাবি করে, এতে এক জন ১৯ বছর বয়সি নাগরিকের নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। বাবাকে শেষ বার দেখতে চাইছেন মেয়ে। তাঁর এই ইচ্ছা পূরণ করা হোক। কিন্তু সেটাও নাকচ করেছে আদালত। বিচারক জানিয়েছেন, আইন সবার জন্য সমান। তাই এই আবেদন গ্রাহ্য হবে না।

আদালতের এই রায় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, আধুনিক সমাজে কোনও ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াই রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতার পরিচয়। তাঁকে হত্যার শামিল।

Advertisement
আরও পড়ুন