তোরখাম সীমান্তে তালিবান এবং পাক ফ্রন্টিয়ার কোরের যৌথ পাহারা। ছবি: সংগৃহীত।
বালুচিস্তান প্রদেশের চমন এবং খাইবার-পাখতুনখোয়ার তোরখাম সীমান্তে বরাবর ভিড় জমতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কার্যত একই একই অবস্থা ইরান সীমান্তে ইসলাম কালা ও তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত-ঘেঁষা টোরঘুন্ডিরও। তালিবানের নাগাল এড়াতে মরিয়া আফগানরা সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিতে চাইছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রে।
সোমবার রাতে কাবুল থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার পর্ব শেষ হওয়ার পরেই সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানকার বিমানবন্দর। ফলে আমেরিকায় পুনর্বাসনের পথ যে আপাতত বন্ধ তা, তা বুঝতে পেরেছেন আফগান নাগরিকেরা। সে কারণেই গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্তগুলিতে ভিড় বাড়ছে বলে মনে করা হয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পরে যে এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে আগেই আঁচ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন। সংস্থার হাই কমিশনার শাবিয়া মান্টো গত মাসে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও তাজিকিস্তান ছাড়া অন্য প্রতিবেশীরা এখনও নীতিগত ভাবে গৃহহীন আফগানদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকী, আফগান শরণার্থীদের সীমান্ত লঙ্ঘন আটকাতে তালিবান এবং পাক আধাসেনার যৌথ ভাবে নজরদারির খবরও সামনে এসেছে।