লেখক সলমন রুশদি এবং তাঁর উপর হামলাকারী হাদি মাতার। ফাইল চিত্র।
ছুরির কোপে একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন। একটি হাতও অকেজো হয়ে গিয়েছে স্থায়ী ভাবে। জখম হয়েছে ঘাড়ের স্নায়ুও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদির এই হাল দেখে বেজায় খুশি ইরান সরকার। গত অগস্ট মাসে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে রুশদির উপর হামলাকারী হাদি মাতারকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আলি হোসেনি খোমেইনির দেশ।
ইরানের সরকারি টিভি মঙ্গলবার জানিয়েছে সে দেশের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি ট্রাস্ট হাদিকে হাজার বর্গমিটার কৃষিজমি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও রুশদির উপর আক্রমণকারী ২৫ বছরের হাদি এখন নিউ ইয়র্কের একটি জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তাঁর পক্ষে এখনই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু খোমেইনির নামাঙ্কিত ওই ট্রাস্টের প্রধান মহম্মদ ইসমাইল জারেই মঙ্গলবার বলেন, ‘‘রুশদি এখন কার্যত জীবন্মৃত। বীরোচিত আক্রমণের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। তাই হাদিকে আমরা হাজার বর্গমিটার কৃষিজমি দেব। চাইলে হাদির মনোনীত প্রতিনিধির হাতে ওই জমি তুলে দেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, আশির দশকে আলি খোমেইনির পূর্বসূরি আয়াতোল্লা খোমেইনির জমানায় উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার ‘অপরাধে’ রুশদির বিরুদ্ধে ‘মৃত্যু ফতোয়া’ জারি করা হয়েছিল। মৌলবাদী হামলার ভয়ে এক দশকেরও বেশি সময় আত্মগোপন করতে হয়েছিল রুশদিকে। সে সময় জোসেফ আন্তন ছদ্মনাম নিয়েছিলেন তিনি।