Nuclear Weapons

পরমাণু বোমা বানানোর পথে ইরান? ৬০ শতাংশ শুদ্ধ ইউরেনিয়াম তৈরির কথা তেহরান মেনে নিল

ইরানের পক্ষে ভবিষ্যতে যাতে আর আর পরমাণু অস্ত্র বানানো সম্ভব না হয়, তা নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে মজুত তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম আইসোটোপ নিয়ে চলে গিয়েছিল আমেরিকা ও রাশিয়া।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
তেহরান শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৮:১৪
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে বড় সাফল্য পেল ইরান।

প্রতীকী ছবি।

ভূগর্ভস্থ পরমাণু কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। মঙ্গলবার সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফোরদো পরমাণু কেন্দ্রে ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম তৈরির কাজ সফল হয়েছে।

২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ইরানের ২০ শতাংশের বেশি পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে ছাড় রয়েছে। তার বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন নিষেধ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই আমেরিকা-সহ কয়েকটি পশ্চিমি দেশ এবং ইজরায়েল মনে করে ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ কর্মসূচির আসল উদ্দেশ্য পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা।

Advertisement

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে অবশ্য ইরান জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে ইরান সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরমাণু সেন্ট্রিফিউজ (যা অস্ত্র নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে) তৈরির কাজেও সাফল্য মিলেছে।

তবে পরমাণু বোমা তৈরি করতে গেলে ৯০ শতাংশ বা তার বেশি পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন। এখনও তেহরান সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি বলেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত। এর আগে ইরানের নাতান্জ-এ পরমাণু জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রেও চুক্তি ভেঙে অতিরিক্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের অভিযোগ উঠেছিল ইরানের বিরুদ্ধে। তারা যাতে গোপনে পরমাণু বোমা বানানোর প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করিয়েছিল আমেরিকা এবং রাশিয়া। এমনকি, ইরান থেকে সমস্ত মজুত তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম আইসোটোপ নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement