কানাডা সরকারের এই নীতি বদলের ফলে অসংখ্য ভারতীয় পড়ুয়া এবং কর্মচারীর সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। —প্রতীকী চিত্র।
‘ওপেন ওয়ার্ক পারমিটস’ (ওডব্লিউপি) নীতিতে বদল আনতে চলেছে কানাডা সরকার। আর এর ফলে বিদেশ থেকে এ দেশে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীদের স্ত্রী এবং স্বামীরা বিশেষ সুবিধা পেতে চলেছেন। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে। কানাডা সরকারের এই নীতি বদলের ফলে অসংখ্য ভারতীয় পড়ুয়া
এবং কর্মচারীর সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন নীতি অনুযায়ী, বিদেশি ছাত্রছাত্রী এবং কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে চাকরি করা ব্যক্তিবিশেষ নতুন করে ওডব্লিউপি-র আবেদন করতে পারবেন। সেই মতো কানাডায় পড়াশোনা বা চাকরি করার সময়ে তাঁদের স্ত্রী বা স্বামীরাও এ দেশে এসে থাকতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা কিছু সময়ের জন্য কানাডায় চাকরি করার অনুমতিও পেতে পারেন। যা আগে করার অনুমতি ছিল না। তবে কোন কোন পড়ুয়া বা কর্মীরা তাঁদের স্ত্রী বা স্বামীদের কানাডায় আনতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলেও দেওয়া হয়েছে। নতুন নীতি অনুযায়ী, কানাডায় স্নাতোকত্তরে পাঠরত (যার মেয়াদ ১৬ মাসের বেশি) পড়ুয়াদের স্ত্রী বা স্বামীরাই নতুন ওডব্লিউপি-তে আবেদন জানাতে পারবেন। কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনা করলে সেই সুযোগ পাওয়া যাবে, তা-ও চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে, টিয়ার-১, সীমিত টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩ ক্যাটেগরিতে কাজ করা কর্মীদের স্ত্রী বা স্বামীরা এখানে থাকার এবং কাজ করার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। ওই কর্মচারীদের অন্তত ১৬ মাস কানাডায় চাকরি করার অনুমতি থাকতে হবে বলেও নতুন নীতিতে বলা হয়েছে। যে সব বিদেশি ছাত্রছাত্রী বা কর্মীর পরিবার ইতিমধ্যেই এ দেশে থাকার সুবিধে পেয়েছেন, তারা চাইলে নতুন নীতিতে চাকরির আবেদন করতে পারবেন।
কানাডায় পাঠরত বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ ভারতীয়। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, এ দেশের মোট বিদেশি পড়ুয়াদের অন্তত ৩৭ শতাংশই হলেন ভারতীয়। নতুন নীতিতে তাঁরা বিশেষ সুবিধে পেতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ওয়ার্ক পারমিট সংক্রান্ত নীতিতে বদল আনলেও গত বছর থেকেই বিদেশি ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা সরকার। আগামী দু’বছর তারা সেই নীতি থেকে সরে আসবে না বলেও জানানো হয়েছে। কানাডা সরকারের বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এ বছরে বিদেশি পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা
রয়েছে তাদের। সংবাদ সংস্থা