Paddy

সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে উৎসাহ বেড়েছে

প্রথম দিকে ক্যাম্প খোলা থাকলেও চাষিরা সেই ভাবে ধান নিয়ে ক্যাম্পে আসেননি। পরবর্তী সময় থেকে চাষিরা উৎসবের মতো ধান নিয়ে হাজির হয়েছেন সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে।

Advertisement
কৌশিক সাহা
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩৬
২০২৩-’২৪ আর্থিক বর্ষে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন।

২০২৩-’২৪ আর্থিক বর্ষে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন। —প্রতীকী চিত্র।

সরকারি ভাবে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু প্রথম দিকে ক্যাম্প খোলা থাকলেও চাষিরা সেই ভাবে ধান নিয়ে ক্যাম্পে আসেননি। পরবর্তী সময় থেকে চাষিরা উৎসবের মতো ধান নিয়ে হাজির হয়েছেন সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে। মুর্শিদাবাদ জেলা খাদ্য নিয়ামক সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, “চাষিদের সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার আগ্রহ ভাল। এ বার ধানের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে চাষিরা যে আগ্রহের সঙ্গে ধান বিক্রি করছেন, তাতে এ বারের লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত পূরণ হবে বলে আমরা আশা করছি।”

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১-’২২ আর্থিক বর্ষে জেলা জুড়ে প্রায় ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হয়েছিল। পরের বছর সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০২২-’২৩ আর্থিক বর্ষে ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন করা হয় বলে দাবি খাদ্য দফতরের কর্তাদের। আর ২০২৩-’২৪ আর্থিক বর্ষে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন। চলতি বছর সেই লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ২২ হাজার মেট্রিক টন। একই সঙ্গে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক একই ভাবে ধান কেনার সরকারি সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি। এ বার সরকারি ভাবে এক কুইন্টাল ধানের দাম ধার্য করা হয়েছে ২৩০০ টাকা। এ ছাড়া কৃষাণ মাণ্ডিতে এক কুইন্টাল ধানের দাম দেওয়া হচ্ছে ২৩২০ টাকা। সূত্রের খবর, এ বার খোলাবাজারে এক কুইন্টাল ধানের দাম ২০৫০ টাকা থেকে ২১০০ টাকা। সহায়ক মূল্যের দামের থেকে কুইন্টালে ২০০ টাকা দাম কম।

এ বার জেলায় থাকা ৪২টি চালকলের মধ্যে ৩৯টি চালকল সরকারের সঙ্গে ধান কেনার সঙ্গে নিযুক্ত। জেলার ৪০টি স্থায়ী ক্যাম্প ও ১৫টি মোবাইল ক্যাম্প করে সরকারি সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে ধান কেনার কাজ হচ্ছে বলেও জানা যায়। ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২৩ মেট্রিক টন ধান চাষিদের কাছ থেকে কেনা হয়ে গিয়েছে বলেও খাদ্য দফতরে সূত্রে জানা যায়। তবে এ বার ধান কেনার প্রথম দিকে ‘ধলতা’ নিয়ে সাগরদিঘি এলাকায় যে ভাবে শোরগোল শুরু হয়েছিল এখন সে রকম কোন অভিযোগ চাষিদের মুখে শোনা যায়নি।

চাষি উজ্জ্বল মিঁয়া, দীনবন্ধু মণ্ডলরা বলেন, “ধান কেনার সময় বেশি বেশি করে ধলতা নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছিলাম। তাতে সরকারি ক্যাম্পে ধান বিক্রি করতে ভয় হচ্ছিল। কিন্তু ধানে যদি ধান না থাকে তা হলে টাকা দিয়ে তো কেউ ধুলো কিনবে না।” জেলার রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জয় মারাঠি বলেন, “প্রশাসনের নিয়ম মেনে আমরা সরকারি ধান নিচ্ছি এবং চাষিদের কাছ থেকে ধান নিতে গিয়ে দেখেছি উৎসবের মতো সরকারি ক্যাম্পে এসে ধান দিচ্ছেন।”

তবে কিছু অভিযোগ উঠছে। খাদ্য নিয়ামক বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

Advertisement
আরও পড়ুন