Indian Death in US

বচসার সময় মাথায় আঘাত, আমেরিকায় মৃত্যু আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের, দেড় মাসে ষষ্ঠ

ওয়াশিংটনের একটি রেস্তরাঁয় রাতের দিকে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক। তাঁর মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। পাঁচ দিন হাসপাতালে থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৯
Indian origin man dies in the US fifth case this year

আমেরিকায় মৃত ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক চান্দের তানেজা। ছবি: সংগৃহীত।

আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের মৃত্যু হল আমেরিকায়। মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওয়াশিংটনে একটি রেস্তরাঁয় বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। পরে যুবকের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে চলতি বছরে পর পর ছ’জন ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের মৃত্যু হল আমেরিকায়।

Advertisement

মৃতের নাম বিবেক চান্দের তানেজা (৪১)। ভার্জিনিয়ার একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওয়াশিংটনের একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন। স্থানীয় সময় রাত ২টো নাগাদ সেখানেই এক জনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বচসায়। অভিযোগ, ঝামেলা, কথা কাটাকাটি চলার সময়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়।

রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের তরফেই থানায় খবর দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে এবং গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি আমেরিকার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছে। তাঁকে খুঁজে দিতে পারলে পুরস্কার মিলবে বলেও ঘোষণা করেছে পুলিশ। ২৫ হাজার ডলার পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে।

গত দেড় মাসে এই নিয়ে ছ’জন ভারতীয় বংশোদ্ভূতের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল আমেরিকায়। প্রতি ক্ষেত্রেই খুন বা হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে। জর্জিয়ায় একটি কনভেনিয়েন্স স্টোরে আংশিক সময়ের জন্য কাজ করতেন বিবেক সাইনি। গত ১৬ জানুয়ারি এক গৃহহীন ব্যক্তি বিবেককে মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে খুন করেন বলে অভিযোগ। ইন্ডিয়ানায় ভারতীয় ছাত্র নীল আচার্যের দেহ উদ্ধার হয় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পরে। ওহায়োতে ১৯ বছর বয়সি ভারতীয় ছাত্র শ্রেয়স রেড্ডি বেনিগেরির দেহ উদ্ধার হয়েছে ফেব্রুয়ারির গোড়ায়। ইন্ডিয়ানা প্রদেশের পাহ্‌জু ইউনিভার্সিটিতে গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন সমীর কামাথ। একটি পার্ক থেকে দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁরও।

আরও পড়ুন
Advertisement