United Nations Human Rights Council

পাক মানবাধিকার নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে তোপ ভারতের

পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয়, এই পুরনো অভিযোগকে ফিরিয়ে এনে মানবাধিকার পরিষদের বক্তৃতায় ইসলামাবাদকে নিশানা করেন অনুপমা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৯
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনাকে ঘিরে রাষ্ট্রপু্ঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে উঠল। উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল পাকিস্তান। এ বার ‘রাইট টু রিপ্লাই’-এ গর্জে উঠেছেন পরিষদে ভারতের প্রতিনিধি অনুপমা সিংহ। পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি অত্যন্ত খারাপ। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যকে নয়াদিল্লি যে ভাল ভাবে নেবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের পাশাপাশি তুরস্কও জম্মু ও কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে সরব হয়েছিল। সে দেশকেও ভারতের তরফে সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement

অনুপমার কথায়, “ভারতের উদাহরণ টেনে পাকিস্তান যে বক্তব্য রেখেছে, তাতে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, পরিষদের মঞ্চ ফের অপব্যবহার করা হল। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভারত সরকার সাংবিধানিক পদক্ষেপও করছে এই অঞ্চলের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য। জম্মু-কাশ্মীরে সুশাসন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার অবস্থান নেই পাকিস্তানের।”

পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়, সেই প্রশ্ন তুলেও ইসলামাবাদকে আক্রমণ শানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকে কূটনীতিক হিসাবে ন’বছর আগে যোগ দেওয়া ভারতের এই দূত পাকিস্তানের মানবাধিকারের রেকর্ডকে ‘অস্বাভাবিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “যে দেশ নিজেদের সংখ্যালঘুদের নিপীড়নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে, তাদের কোনও অধিকার নেই ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করার। ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারে নজির গড়েছে।” ২০২৩ সালেই পাকিস্তানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপরে আক্রমণ ও অত্যাচারের উদাহরণ তুলে ধরে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, “পাকিস্তান নিজের দেশের নাগরিকদের আসল পরিষেবা দিতেই ব্যর্থ হয়েছে।”

পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয়, এই পুরনো অভিযোগকে ফিরিয়ে এনে মানবাধিকার পরিষদের বক্তৃতায় ইসলামাবাদকে নিশানা করেন অনুপমা। বলেন, “আমরা এমন দেশের কথায় গুরুত্ব দিতে পারি না, যারা গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়েছে। জাতীয় ব্যালেন্স শিটে ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।” পাকিস্তানের তিনটি ‘বিপদসঙ্কেত’কে চিহ্নিত করে ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, সে দেশের ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং নির্বাচিত সরকারের দ্বারা দেশের জনগণের চাহিদা পূরণ না হওয়ার মতো গভীর সমস্যা রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement