চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (বাঁ দিকে) এবং মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
ঋণের জালে ফেঁসে বিপাকে পড়তে পারে মলদ্বীপ। বুধবার এই মর্মে প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে সতর্ক করল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। আইএমএফ মলদ্বীপের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মলদ্বীপ ঋণ নেওয়ার নিরিখে ‘বড় ঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পরেই মলদ্বীপকে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে চিন। গত মাসে চিন সফরে গিয়ে মুইজ্জু উন্নয়নমূলক তহবিলে ‘নিঃস্বার্থ সহযোগিতা’ করার জন্য শি জিনপিংয়ের দেশকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন।
আইএমএফ অবশ্য তাদের বিবৃতিতে কোনও দেশের নাম করেনি। তাদের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে অন্যান্য দেশ থেকে নেওয়া মলদ্বীপের মোট ঋণের পরিমাণ প্রকাশ্যে না আনা হলেও বলা হয়েছে, “সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে নীতি সংশোধনের প্রয়োজন। নীতি সংশোধিত না হলে মলদ্বীপে রাজকোষ ঘাটতি এবং ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে।”
মলদ্বীপের অর্থনীতি মোটের উপর পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কোভিড অতিমারির সময় পর্যটক প্রায় না আসায় মার খেয়েছে সে দেশের অর্থনীতিও। তাই বিদেশি ঋণের উপর নির্ভর করছে সে দেশের সরকার। তবে গত নভেম্বরে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের ‘চিন-ঘনিষ্ঠতা’ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। অন্য দিকে, সম্প্রতি ভারতের অন্তর্বর্তী বাজেটে মলদ্বীপকে সাহায্যের বরাদ্দে কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। তার ঠিক পরেই পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনওয়ার উল হক কাকর মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে ফোন করেন। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়। সূত্রের খবর, মলদ্বীপকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, দেশটির উন্নয়নের প্রয়োজনে অর্থ সাহায্য করবে পাকিস্তানও।
এই আবহেই বৃহস্পতিবার বিকেলে মলদ্বীপের রাজধানী মালের বন্দরে ঢুকতে চলেছে চিনের নজরদার জাহাজ ইয়াং হং ৩। গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত।