Israel Hamas War

বিদ্যুৎ নেই, অন্ধকারে ডুবেছে গাজ়া, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে হামাস?

গাজ়ায় বিদ্যুৎ না থাকায় এখন সেখানকার বাসিন্দাদের জেনারেটরের উপর নির্ভর করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়তে পারে হামাস বাহিনী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫৯
Gaza has lost electricity amid war

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা। ছবি: সংগৃহীত।

যুদ্ধের আবহে অন্ধকারে ডুবল প্যালেস্তেনীয় শহর গাজ়া। সেখানকার এক মাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

গাজ়ায় বিদ্যুৎ না থাকায় এখন সেখানকার বাসিন্দাদের ডিজেলচালিত জেনারেটরের উপর নির্ভর করতে হবে। বিদ্যুৎহীন শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থাও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। গাজ়ার লোকজন মোবাইল ফোন চার্জ দিতে পারছেন না। জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না শহরের কোনও প্রান্তে। কোনও বহুতলে কাজ করছে না লিফ্‌ট বা অন্য কোনও বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র। তার মধ্যে ইজ়রায়েল অনবরত গোলাগুলি বর্ষণ করে চলেছে প্যালেস্তেনীয় শহরের দিকে।

গাজ়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি ফুরিয়ে আসছে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জ্বালানি জোগাড় করা যায়নি। তাঁরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জ্বালানির অভাবে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অন্ধকারে ডুবেছে গোটা শহর। বিদ্যুৎ না থাকায় ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে পারে হামাস বাহিনী।

গাজ়ার এক নাগরিক বিবিসিকে বলেছেন, ‘‘কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছি। জল নেই, ইন্টারনেট নেই, বিদ্যুৎ নেই। আমরা কোনও জিনিস কিনতে বাজারেও যেতে পারছি না। কারণ যে কোনও মুহূর্তে বোমা পড়তে পারে। সাধারণ মানুষকে এই যুদ্ধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত।’’

বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধে আহত বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজ়রায়েল আক্রমণ করলে যুদ্ধ শুরু হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। ইজ়রায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পাল্টা প্রত্যাঘাত করেছে। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement